শেষ শ্রাবণের বৃষ্টিভেজা এক রাতে
মধ্যবিত্তের বুকে সংশয়ের ঝড় তুলে
তুমি ফিরে এলে
তোমার বুকে গভীর ক্ষত, নাভিতে অগ্নিদাহ
পিষে যাওয়া নীল ঠোঁটের আঙিনায়
অনেক রক্তের আরো আরো চিহ্ন ছিল কত
দিকচক্রবালে, যখন আঁধার নেমে এল
কোনো পুরুষের শীৎকার
তোমার আর্ত চিৎকার
মিলেমিশে একাকার ...
তোমার তর্জনী ঈশ্বরের দিকে গেল
সুচরিতা বিশ্বাস কর,
সমস্ত রকম ভন্ডামি নিয়ে
আমি ছিলাম
তোমার সাথে, তোমার সূচিতার বেশে
আজ জানি, তোমার চরম বিদ্বেষে
আমি জন্মেছি অন্যরূপে অন্য অবকাশে
তোমার আত্মমর্যাদায়
ওঠ সুচরিতা
তোমার ওই ছিন্ন রক্তাক্ত কাপড়ে
নারীত্বের শোধন কবচ মুছে দাও আছে যত
নির্লজ্জ পৌরুষ দেখুক সৃষ্টির আধারে হানা
তার চরম আঘাত
আজ পাল্টা আঘাত হেনেছে
তারই হৃদয়ে শরীরে মস্তিষ্কে পৃষ্ঠদেশে
যতবার তুমি হবে লাঞ্ছিতা নির্যাতিতা
ততবারই সে হবে অপমানিত
ওঠ, বিপ্লবী হয়ে ওঠ সুচরিতা ...
তুমি নারী, এ শতাব্দীর !