কাজল কালো হরিণীর মতো চোখ
এলোকেশী;
বিহঙ্গ ডানা মেলে
সৌরভ তার,
অঙ্গে জড়ায়।
মহুয়া নেশায় মাতে ধীবরকূল
সাঁওতালি গান
মাদল-মাদল নাচে,
মেঠো সুর তার
হৃদয় ভরায়।
পুকুর পাড়ে,সাঁঝের প্রদীপ হাতে
কলসী কাঁখে
আপন ভাবনাতে
আঁধার মাঝে জ্যোৎস্না ছড়ায়।
বাগান থেকে শিউলি ফুল তুলে
নৈবেদ্য-
মালা গাঁথার ছলে
রাখাল বাঁশির
চেনা পথ  ভোলায়।
ওকে যে, ভীষণ ভালো লাগে
পূর্বরাগ অসাবধানে জাগে,
হৃদয়হরণী,
নিষ্ঠুর! সে যে
তখনই মুখ ফেরায়।
চোখদুটি তার অহংকারে ভরা
সহজে দেয় না ধরা,
বশীকরণ মন্ত্র জানে,
মন ভেঙ্গে
সে কি যে আনন্দ পায়?
লোকে তাকে বাঁকা চোখে দেখে,
দূরে সরে থাকে
ওযে দূরে
আরও দূরে সরে,
অশ্রুধারা আঁচলে লুকায়।


"কেন খেল মন ভাঙ্গা খেলা তবে
কষ্ট যখন তোমারও হবে;
এসো, এ কষ্ট ভাগ করে নিই"
সে বলে, "দূরে থাক,
দেখছ না, কত ভালোবাসার কলঙ্ক
                              এ গায়ে।"