চিল চোখে ঐ মেয়েটিকে দেখেছো।
ও আজও হেঁটে চলে। কাজ করে। কথাও বলে।
একদিন তুচ্ছ তাচ্ছিল্যে ফেলে দিয়েছিলে
নষ্ট, নষ্ট, নষ্ট বলে তিন তালাক ও আজানে
ঐ দুর্গা আজও ছাতিম সকালে জাগে।
হ্যাঁ, ওর মা-বাবা পাশে না দাঁড়ালেও
ওর এক কাকীমা ওকে বুঝেছিল।
ধর্ষণ মানেই জীবন শেষ নয়,
যারা অপরাধ করেছিল, তারাও প্রতিষ্ঠিত
কেউ কেউ নেতাও হয়েছে।
আসলে রাজনীতি তো নীতি বোঝে না
বোঝে ক্ষমতা ও টাকা।


ভোকাট্টার প্রতি গণ নির্বাচনে অসুরের দৌরাত্ম
আজকের ডিজে ডান্সের মেহফিলে বোঝা যায়।


ঐ যে সমাজে চরিত্রহীন হয়ে যাওয়া মেয়েটি
ফিরছে,
যে পুজো কমিটির লোকজন বের করে দিয়েছিল
সেই কমিটির লোকজনই আজ বলছে-‘দিদি এ, বছর
আপনি তো জাজ, একটু আমাদের দেখবেন’


দুর্গা হয়ে ওঠা মেয়েটি বলে উঠল—
‘আগে নিজের ঘরের মা-বোনকে মানুষ ভাবুন
দুর্গার শক্তি উপলব্ধি করুন, না হলে সব থিম ব্যর্থ...’


পুজো কমিটি ঠিক করেছে পরের বছরের থিম
‘ঘরের মা-বোন’