আকাশে ঘুড়ি দেখলে
অনেক কাজ যে হাতে এখনো আছে
সে সব মনে পড়ে যায়, পাহাড়ের এই গুহায়।
পাহাড় উঠছিলাম।
বিশ্বাস না করলেও তখন জিভে নোনা সমুদ্র জলকেলি
লেগে ছিলো না, মধুচন্দ্রিমার মতো।
পাহাড়েই উঠছিলাম।
প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট তো ছোটবেলা থেকেই,
বাড়তে লাগল।
বাড়তে বাড়তে শেষে আশ্রয়হীন সাফল্যে
একটা গুহা খুঁজে পেলাম।
সেখান থেকেই দেখলাম,
নিচের গ্রামে
ঘুড়ি ওড়াচ্ছে বাচ্চা-বুড়ো।
অবাক হলাম না,
আমি তো সাফল্য চেয়েছিলাম,
আনন্দ নয়।
বিশাল কারখানার মালিক হয়ে নারকেল ভাঙা
বিশ্বকর্মা পুজোতে মদের ফোয়ারা।
কোন দিনও ভোকাট্টা বলে চেঁচাতে চাইনি।
এখনও
গুহার ভিতর ট্যারেনটুলা বা ব্ল্যাক প্যান্থারের কথা ভাবছি
একবারও ভাবছি না এই গুহা পথ ধরে
মহামানবও এগিয়ে আসতে পারে আমার বুক চিড়ে...