তোমার কন্ঠ, ঠোঁট, চোখ সমস্তটুকুই আকৃষ্ট করছে দিনঋণ। ক্লান্ত দেহের আত্মারা রবি কিরণ খুঁজে পায় দীপ্তিময় চোখের মণিতে। উচ্ছাসঘ্রাণ লেগে রয়েছে তোমার শরীর জুড়ে। আমিও আবহ সংগীতে মেতে উঠেছি। তুমি তো আমার ভাষা বাক্যকে কঠিন মনে করো। মনে করো এসব তো ভূত কথা নয়। পড়ে সময় নষ্ট করার মতো দিনযাপন নাই বা করলে। তবু যেন আত্মার শুদ্ধি তো কৃষ্ণ মেঘেই ঘটে। তুমি রবি ঠাকুরের গহীন চেতনাকে আজও বুঝতে শেখোনি। আমিও শিখিনি। উনি আর যাইহোক গুরুদেব নন। উনি ঋষি। উনি উদিত প্রাচ্যের এক দিব্য আলোক। কাব্য, সামাজিকতা, শিল্প-সৃজনের উর্ধ্বে এক জ্যোতিষ্ক। তাইতো বৃষ্টিকালীন দুপুরে তোমার পিঠে পিঠ লাগিয়ে ওঁর লেখ্য পাঠ করবো। রবি চেতনার উৎসারিত আলোতে জন্ম নেবে দিগন্ত বিস্তৃত মহাকালের রামধনু। দিগন্তরেখায়। তুমি আর আমি সমুদ্র ঢেউয়ে তখন এক আত্মা, এক প্রাণ, একই স্নিগ্ধতা, তা স্পর্শ করবে পরশকে...দু’জনেই একান্ত মুহূর্তে গেয়ে উঠব... ‘মাতলো রে ভুবন...’
© সোমাদ্রি সাহা 2018