শব্দরা পুরোনো রবীন্দ্রনাথের মতো
ঠাস ঠাস করে চড় মারে
সুনিপুণ গানের কলিতে রোজ।
নিহারিকার মতো গলারা
প্রতিবছরই ফাস্ট হতে পারে না,
ঠিক যেমন তুমি যত ভালোই
সাহায্য করো না কেন
ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এ
তোমাকে কখনই আমি
একশোয় একশো দিতে পারি না।
উদাহরণ দিই, ঐ বাড়ির ওকে দেখছ
তোমার মতো মোবাইলে
মুখ গুজে থাকে না।
তবু কেন জানি না, না বলা কথায়-
তুমিও যাচ্ছেতাইরকম ভালোবাসায়
বুড়ো বয়সে বুঝিয়ে দিচ্ছো
সন্তান সংসার নয়
কেবল তুমি আমার আপন
সাত জন্ম নয়
হাজার হাজার বছর
তুমি আমার সবটুকুর গোলাপ।
থাকা, না থাকার চেয়েও
গৃহকোণ ঝগড়া, টিভি,
ডাস্টার নিয়ে এদিক ওদিক
ফোড়ন দেওয়া কড়াই শব্দ
কেন জানি না
আরও আরও আরও
বাঁচার স্বপ্ন জাগিয়ে দ্যায়
করোনা লাল চোখেও।


কেউ নেই তো কী হয়েছে
রবি ঠাকুর আর তুমি আছো
এটুকুই তো পাওয়া বাঙালি জন্মে।


হ্যাঁ, ঠিকই ইউরোপ ট্যুরটা অনিশ্চিত
কিন্তু ভাঙা পা নিয়ে
আমি রোজ দেখতে পাই
খোলা দরজা, মালা পরে ভোটপ্রার্থী
দাঁড়াতেই তুমি চেঁচিয়ে বলে উঠলে
ভোট দিতে হলে
আমার অর্ধাঙ্গিনীকে দেব
আমাকে যে দেখবে
তাকে দেব
গদি ক্ষমতা আর ধান্দাবাজদের
জন্য তো দেশ রয়েছে,
ওর জন্য কে রয়েছে!
বলতে পারেন
ওর জন্য কে রয়েছে-আমি ছাড়া!