রাজা-রানী একটু আগেই রাজপথ দিয়ে
ফুলের আবরণ গন্ধ মেখে চলে গ্যাছে।
অনেক কথার দান শুনিয়েছে
অনেকক্ষণ বুঝিয়েছে সুস্থ থাকার কৌশল...
জুজু ভয়ে ঘরে থাকার বাচ্চা ভুলানি কথা।


ইতিউতি দোকানে বাজারে লোকজন
তবু কথা বলছে, ঘরে যায়নি।
সবাই এখন জানে রাজা উলঙ্গ
রানী পাগলি বটে, কিন্তু কেউ মন থেকে
চেঁচিয়ে বলতে পারছে না।


কোটি কোটি টাকার অনুদান
প্রহশনের ব্যাংক ঋণ পিছানো
সব বোকামোতে জল ঢালতে সুদহীন রাষ্ট্র
কেবলই কোষাগারের কথা ভাবছে।
না খেয়ে মানুষ যে এমনিতেই অর্ধমৃত...
যাক সে সব কথা।


আমরা স্বাধীন নাগরিক বলেও কর দিয়ে দিয়ে
পরাধীনতার গন্ধ মাখছি বসন্তনিশিতে।
রাজা-রানী ভয় দেখাচ্ছে পেয়াদা দিয়ে,
ঘরে যাও। চুপ থাকো। তবেই বাঁচবে।
জুজু ভাইরাস তোমার প্রাণ নেবে।


কেউ বলার নেই রাজা-রানী
এ গরীব দেশে এমনি মানুষ মারা যায়
অনেক ঘৃণ্য কারণে। কেউ নেই।
ঐ শিশুটাও এখন বড় হয়ে গ্যাছে।
ওরও এখন ঘর সংসার আছে।
ও ভয় পায় যুবা গলার চিৎকারে।


এর মধ্যেই একদিন
ভোরের কুহু পাখি
রাজপ্রাসাদে গিয়েছিল।
বসেছিল জানলায়।


রাজা তখন ঘুম চোখে।
রানি সবে মুখ দেখছিল আয়নায়।
কুহু পাখি বলল ‘বোকাফুল ফুলদানিতে রেখেছো
মৃত্যুর বিষ লুকিয়ে ছিল ঐ গন্ধেই’


এখন হাজার কোটির কান্না সম্পত্তি কে সামলাবে!