বাস ছাড়ার আগে দেখলাম সকলে উঠেছে কিনা—
গন্তব্য বাড়ি।
পেরিয়ে আসছি সরষেক্ষেত, সেদ্ধ চাল শুকানো
আমাদের মায়েদের আঁচল গন্ধ-ঘাম
খড়ের সোনা রোদ, চাষীভাইদের পোট্রেট হাসি
ফেলে এলাম ঘ্রাণ মাটির অমরত্ব।


ফিরলাম বাড়ির ঘুমে। ঘুমাতে ঘুমাতে বুঝলাম—
গ্রামবাংলার স্নিগ্ধতা, শহুরে বাতাসে ব্রাত্য।
পাগল জসীমুদ্দিনও পাড়ার মোড়ে ব্রাত্য।
বাংলা বানানও শখের কবিদের কাছে ব্রাত্য।


আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শিক্ষিত, নিজেকে খিল্লি করছ
প্রকৃতিও বলবে—‘পুরুষ তুমিও ব্রাত্য...’