এখন মনে হচ্ছে চলে গেলেই ভালো হতো,
এত মানুষ একে অপরের সাথে ভিড় করছে
লাইন দিয়ে অপেক্ষা করছে,
আমিও তো যেতে পারতাম!
মন থেকে যেতে পারলেও
না, সশরীরে এবছর তোমার ইজিচেয়ারের পাশে
আমি দাঁড়াতে পারলাম না, বাবা।
পুরোনো বইয়ের গন্ধে ছোটবেলার মা ডাক
ডাকতে পারলাম না,
ঐ পেয়ারা গাছটা শুনেছিলাম আম্ফানে ভেঙেছে
দেখা হলো না,
যেতে পারলে ভালোই হতো,
জন্মভিটেতে কাশ ফুলের গন্ধ
আগমনির বাদ্দ্যি  
স্কুলের বন্ধুদের সাথে আড্ডা, চা খাওয়া
রাত দুটো পর্যন্ত যাপিত শান্তির মুহূর্তেরা...


ভালো লাগছিল না,
এই সময় ছাদের উপরে গিয়ে দাঁড়ালাম,
চাঁদটা বেমানান
তবু রাস্তার ওপাশের মাঠে
একে অপরকে কী সুন্দর ফুচকা খাইয়ে দিচ্ছে,
ওকে বললাম, ‘চলো না, আমরাও ফুচকা খেয়ে আসি।’
তাকালো। ভয় দেখালো মেয়েকে ফোন করবে!


মেয়ে, সেও তো ক্যালিফোর্নিয়াতে।
ওর নাকি করোনা হয়ে সেরেও গ্যাছে।
আমি হেসে বললাম, ও এখন অফিসে ব্যস্ত,
নাতি ফোন ধরবে বাড়িতে, ফুচকার কথা বললে
বলবে ইয়ামি।


ধীরে ধীরে ভয় কমে আসছে, সন্ধিপুজো শুরু হবে,
উপোস করা পাঞ্জাবিতে কবিতা নেমে আসছে
কুয়াশার মতো মা নেমে আসছে হাসি মুখে
আমিও মিলিয়ে যাচ্ছি ঘুমে।
আচ্ছন্ন ভাবটা কাটতেই ফোন এলো—
‘সুপ্রভাত, বাড়ি আছেন তো,
আসছি উৎসব সংখ্যা নিয়ে
আজ কিন্তু বৌদির হাতের রান্না খেয়ে ফিরব।’