এ বছর ঢাকের বায়না কম।
কবিতার মতো উৎসবের প্রতি টান
হারিয়েছে সমুদ্র মাঝি।
কর্মচারীরা খুঁজে নিচ্ছে অন্য পেশা, ফুচকাশিল্পেও।
মৃত ছবির ফ্রেম সংখ্যা এক লক্ষ পেরিয়েছে
তবু বিরিয়ানির গন্ধে টেস পাচ্ছে ফুডলাভার পাখিরা।


দুর্গা বাপের বাড়িতে প্রবেশের আগে
এক কোটি আক্রান্ত স্পর্শ করবে, উপমহাদেশ।
খেয়াল নেই দশটা পাঁচটার হাফ মাইনের চোখেদের।
তারা আজকাল অকাল বসন্তের হোলিতে
আলোচনা করে কমলা, সবুজ, লাল নিয়ে
আর বলে ‘সাতষট্টি লাখ পেরোলে তারপর বলো।’


আমিও সকালের ভুল চায়ে চুমুক দিয়ে
মরা তুলসীগাছের সামনে চড়াইকে
এদিক ওদিক করতে দেখি।


এক শালিক আসেনি পকেটকবিতায়
একশো সংখ্যক কবিতা নয়
ঢাকের কান্না লিখতে বসে
হঠাৎ শুনতে পেলাম উড়োজাহাজের হাসি,
আমার পুকুর পাড়ের কানামাছিতে
এক টুকরো কামরাঙা, ঝাল, নুন ছড়িয়ে দিল।


এ বছর ঢাক বাজাবো না মুখে বলেও
ঢাকী হয়ে উঠছে আমার বিবর্তিত সৌন্দর্য।