শরতের এপারে চোখ ওপারে স্মৃতি।


দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে
ঘুমিয়েছে নাম না জানা আজান প্রত্যাশা।
শরতের শিউলি, কাশ বন,
বন্যার স্রোতে ভেসেছে, আফগানিস্তানের মতো।
এ বাংলায় এখন নীলকণ্ঠ পাখি নয়
বাস করে কিছু আগমনী ফটোশ্যুট।
বিস্তৃত শরীর জুড়ে যৌন মাদকতা।
লাল পেরে শাড়ির সেই ধুনোগন্ধ
সাবেকী সাজ কেবল বিকিকিনি।
অন্তর থেকে মায়ের আশীর্বাদ চায় না
এ যুগের সেলফি হাসিরা।


শরতের এপারে সব বদলেছে।
বদলে গ্যাছে সুখ চাহিদার ওয়েবসিরিজ।


ক্লান্ত দিনের শেষে সুখ ছিল কুচি দেওয়া প্যান্ডেলে
শ্রদ্ধা ছিল। আপনজনের মতো। উদয় অস্ত।


ভালোবাসার সেই গাড়ি হয়তো দাঁড়িয়ে আজও
আমি শুধু ব্যস্ততায়
ফিরতে পারছি না।
বিদ্যাসাগর অথবা রবীন্দ্রনাথের কাছে।