জেগে থাকে উপন্যাস, রেগে থাকে কলকাতা
আগুন লাগিয়ে দিয়েছি—প্রিয় যত কবিতা।
প্রতিষ্ঠানহীন কলমের কবিতার দ্রোহ
মৃত্যুর পরে কেবলই ভালোবাসার মোহ...ছন্দহীন, গন্ধহীন
পিন্ডদানের রীতি, সংস্কৃতি।
ধর্মহীন এক ধর্ম গ্রাস করছে তোমার চিল তিল
হেঁটে চলেছো কলকাতা, আঁচলে বাঁধা স্টেলেটো হিল।
রিং কানের দুল, খোলা চুলের ঢেউ
যৌনতা কেউ কেউ ভাববেও।
এসব মাখিয়ে দিলে ছোটগল্পের বই কেটে যায়
আমি কতটা ছড়াকে সংরক্ষণ করি
মনেরই খাতায়...


কিছু না বোঝা ফুলপরী, কুমীরের মতো
খেয়ে নিয়েছে আমায়, শৈশব গত। কৈশোর হাসে
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কারখানার ঘাসে।


শিল্প চাই, কৃষি চাই, চাই খাদ্যের লড়াই
হৃদয় কতটা বামে, থাক সে সব
চলো করি ধান্দাবাজীর বরাই...


মৃত্যুর পরে এসব লেখা হয়নি তো আর
মন, তুমি ছাড়া ভালোবাসেনি বিশ্ব সংসার
দুর্বোধ্য পাঠ তালিকায়
রেখেছি তোমায় লেখা চিঠি
ঘুরে দেখছি আজ নতুন এক আমেঠি।


এসো ভেসে যাই, নতুন করে সাতার শহরে বাঁচি
মৃত্যুর পরে সবই শান্তি, মোহনহীন  স্তূপ-সাঁচি।