হঠাৎ অনুভব করলাম ঘরের সব কাজ কর্ম
বাইরের কেউ দেখছে।
দেওয়ালটা ভালো করে পরীক্ষা করতে লাগলাম
দেড় হাজার স্কোয়ার ফিট কার্পেট এরিয়া।
দেওয়ালে ফুটো খুঁজেই পাচ্ছি না।
মন বলছে গর্ত করে কেউ দেখছে।
কাজ মাথায় উঠেছে,
মনের ভিতর সব সময় দুশ্চিন্তা।
সেদিন দেওয়ালে কান দিয়েছিলাম
শুনতে পেলাম ফিসফিস।
বারান্দায় কান দিতেই এমন দমকা ঝড় এলো
কানের মধ্যে সাত দিন ধরে তারপরে
ঝিঁ ঝিঁ ডেকেই চলেছে।


রাতে ঘুম নেই,
দিনে কাজ নেই,
পাগলের মতো দেওয়ালের গর্ত
অশরীরীর আলোচনা শুনতে চাইছি।


আজ ঠিক করেছি
যেখানে যেখানে দেওয়ালে রং উঠে গেছে
সব আজ আমি নিজে হাতে প্যাচ রিপেয়ার করব।
দেখলাম আমার ছোট বেলার ছবিটা
পিসেমশাইয়ের সাথে
বেঁকে রয়েছে।
ঠিক করে দিলাম।


আবার দুদিন পর দেখি ছবিটা বেঁকে গ্যাছে।
কাজ করতে পারছি না,
ঋতুযান থেকে সোমাদ্রি ফোন করে লেখা চাইল
দিতে পারছি না। অসম্ভব এক পাগলামির ভিতর
এক পক্ষকাল কেটে গেলো।


এদিকে আজ বিশে ফেব্রুয়ারি।
ঋতুযান পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে,
অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখলাম পিসেমশাইকে নিয়ে আমার লেখা।


আমি কবে লিখলাম!
হতবাক।


বাড়ি ফিরে দেখি পিসেমশাইয়ের সেই ছবিটা
মাটিতে, ভেঙে রয়েছে কাঁচ।
দেওয়ালে কান দিয়ে বুঝলাম ফিসফিস বন্ধ
ফিস ফিস ফিস বন্ধ।