ফিরছি। রাতকাহনের বিষাদ শিশিরে সোনালী খোপার সুভাষ ছড়িয়ে যাচ্ছে এলো চুলের ঘাসে। অনুভূতির শিহরণ নিঃশ্বাসের শববাহী চাকা পেরিয়ে সিঞ্চিত অভীপ্সিত রবীন্দ্র বজরায় ভেসে চলেছে আজীবন কুহুতান। আমিও রিপোর্ট লেখার ভান করে কবি হয়ে উঠি, এই তিন কুড়ির কোট সৌন্দর্যে। কঙ্কাল নয়, আত্মা দহনের সৌন্দর্য উপলব্ধির সেই মৃত্যু রাত্রি শীতল বছরের কামব্যাকের কথা বলতেই সুর কেটে যায় এসরাজে। সেতারের ক্ষণিক পাগলামী বেহাগে গজলের অনুদিত শান্তি স্পর্শ করতেই তোমার বন্ধনহাতে অন্য পুরুষালী সিঁদুর লাগে। ফ্রেমের বোকেতে তখন ফোকাস বিন্দুর অনুপ্রাস। তোমায় এ বছর আরও একবার বলা হলো না, ভালোইবাসি। শুধু তোমার গোলাপকাব্যে লিখে দিলাম আমার নাম। নখের আলপথ দিয়ে হাঁটছি, তোমার মনের গভীরে পৌঁছে যাবোই। ইন্টারলিফ করে বাঁধাই, জেল করা সম্পূর্ণ। এখন শুধু মেলা দুনিয়ার সামনে স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখার পালা। তোমার শরীর-গন্ধের মতোই বইয়ের গন্ধে পূর্ণতা পাই। সার্থক বাংলা জন্ম। হাজার কোটি টাকাও এ জন্ম আমায় ফিরিয়ে দেবে না। নতুন বছরে এক মুহূর্ত আমায় নিজের মনে করো। টাকা যে সুখ দিতে অক্ষম, অন্তর চুম্বন তাই দেয়। মন মালিকা, জন্মান্তর বুঝি না, বুঝি তোমার জন্ম সমকালের হলেও আমার অস্তিত্ব তোমার পাদপদ্মে...