সকাল সকাল...
অ্যাই কী লিখছিস! তখন থেকে টাইপিং দেখায়
তোর আদর শীত চাদরে আনন্দসুখ মাখায়।
কলেজ স্ট্রীটে ট্রামের গন্ধ, চিকচিক করে চোখ
শীত স্নানের ভালোবাসারা কেবল তোর হোক।
চল না ঘুরে আসি, এই ঠান্ডায় জড়িয়ে তোকে
পাগল নাকি! বেরোবোই না, যাই বলুক লোকে।
তুই আমার ঝগড়ার পার্টানার, তুই চুমু ঠোঁট
তোর সাথেই সিগারেট টান, বলব না ফোট।
তুই গোলাপ দেখেছিস, আমি দেখেছি ফুচকা
চকোলেটে সুপ্রভাত দিলো, দাদু নয় কাকা।
দু ঘন্টা পরে...
তবু দিল মাঙ্গে মোর, ট্রামের ঘন্টি বাজে
আজ কেবল যাবো আদরেরই কাজে।
ঘুরিয়ে মারব চর, খালি ওসব ভাবে ছেলে
এক্ষুনি চেঁচিয়ে বললে, নিয়ে যাবে জেলে।
মন ভালো নেই, রাস্তায় শীতে ওরা কাঁপে
ঈশ্বর কী দিয়ে মানুষেরই সুখটুকু মাপে।
ঘুরতে ঘুরতে...
আচ্ছা শোন না, ফিরতি পথে এসপ্লানেডে
কিনে নেবো কম্বল, কিছু আছে এ ফান্ডে।
এতো হাসি কিসের, ডাল মে কুছ কালা
অর্ডার দে কবিরাজি, খুলুক মনের তালা।
সেদিন রাতে...
সেলফিবিহীন দুই জনেতে দিলো কম্বল ওদের
জ্যোৎস্না জানে সূর্যপ্রভা, হাসবে কাল রোদের।


কয়েকদিন পর...
ট্রামের মিউজিয়াম বালিগঞ্জ ফাঁড়ির কাছে,
সেখানেই শরীর জুড়ে প্রজাপতি উড়ছে,
তুতান ও জিয়ার শীতের নরম রোদে হাসছে
জীবন কচুড়ি প্রেমে, দুজনকে ভালোবাসছে।