ছাদ থেকে আজ কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার চেষ্টায়
মুখ বাড়িয়ে দেখতে পেলাম জীবনানন্দকে।
এক আকাশ গাঙচিল এই করলার তীরে
কেমন করে লুটিয়ে দিলো কৃষ্ণচূড়ার বারবিলকে...
কেমন করে কুদ্রেমুখের সেই কুয়াশা
স্পর্শ করল তোমার ঠোঁট, হাসিস্রোত।
ম্যাঙ্গালোরের সেই পাগল করা সন্ধ্যা
সব কেমন যেন মিশে যাচ্ছে এই ছাদ আকাশে,
হারিয়ে যাচ্ছি আমি অরণ্যের সবুজে
চায়ের স্বাদে মাদকতা উপভোগ করছি
ঠাকুর বাড়ির মায়ামৃদঙ্গে।
ঠিক তখনই হাতির আওয়াজ,
জঙ্গলের আর্তনাদে বুঝলাম
এই তো গণতন্ত্রের নিস্তেজ জ্যাঙরা।
রাস্তায় কাদা নয় রক্ত লেগে আছে
আমার প্রিয় লালের। মানুষের শ্রমজীবী চোখকান্নার।
কোথায় গেল আমার কাঞ্চনজঙ্ঘা!
কোথায় আমার শীতল অনুভূতি
উদাত্ত বর্ষার চিৎকার
পাগল করা বন্যার মতো লাখ লাখ শঙ্খচিল...
আসলে আয় ব্যায়ের হিসেবে
আমি ভুলেই গেছি আমি মানুষ।
সেই ইয়ং শান্তনু যে উপন্যাসে মৃত্যু সহযাত্রী
এখন বৃদ্ধ পিতা, পিতার মতো পিতামহ।
খোঁজ করছে এক অর্জুনের। এক কর্ণের। এক কবিতার।


মহাকাব্যকে নয় কবিতাকেই দিয়ে যাবে চাবিকাঠি
কবিতার মেলার।
জীবন যে কবিতা ছাড়া কিচ্ছুটি নয়...