বাইশ আর পঁচিশে রবি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে পথিকের দল
স্ট্যাটাস সিম্বলের এ এক অন্যবদ্য ফলাফল। দলবাজী চাটুকারিতা।
আলতো করে মাখিয়ে নিচ্ছে পলাশে বা কুঞ্জবনে আবির
হরি লুটের নকুলদানা বা বাতাসায় চড়াং চড়াং শব্দধ্বনিতে রবি কাব্য।
উদ্বাস্তু এক সভ্যতা সকালে তারা বা আকাশ বাংলায়
শ্রোতা বা দর্শকরা কেবলই গিনিপিগের আধ খাওয়া হিমসাগর...
দেশের গণতন্ত্রে ইস্যু হল ধর্ম। ভাবা যায় না এন্ড গেমের কল্পবিশ্বে।


সাগরই বটে। রবি ঠাকুরের সবটুকু পড়া আর আকাশকে গো থ্রু
অনেকটা একই রকমের। বাবার ছবির পাশে রবি ছবি। সত্যই পুজো...
একজন মানুষকে পুজো করতে তো পারেন, ছড়িয়ে দিতে পারেন!
দাদু হিসেবেই জেন-নেক্সট চিনেছে। ট্রেন্ডি। — মাঝে মাঝে তব দেখা হয়
এই দুর্মূল্যের বাজারে। মুখোশ লাগানো লোক সকল, ধান্দা বোঝে,
পার্টি বোঝে, তেল দেওয়া বোঝে, পুরস্কারের অর্থে শেয়ার বোঝে
একটা অনুষ্ঠান হলে কিছু ছবি তোলা, কিছু পয়সা রোজগার
কিছু ডেকরেটারের ব্যবসা, ধুলায় ধুলায় মুক্তি পায় উচ্ছ্বাসে।


নেই কিচ্ছুটি, অন্তরসারশূন্য সোমকে তাচ্ছিল্য করতেই পারো, রবিদা
তোমায় জীবনে, আনন্দে, দুঃখে পাশে চাই না। তুমি প্রেমিক নও।
তুমি প্রেতাত্মা। তোমার সাথে বোঝাবুঝি হবে মৃত্যুর পরে।


হ্যাঁ, তোমার জন্য আমি বাঁচতে পারিনি। দায়ী তুমি আমার মৃত্যুর জন্য...
© সোমাদ্রি সাহা 2019