১।
মুদি দোকানে একটু আগে সুন্দর গন্ধ ছিলো
স্নান করার পরে যে গন্ধে প্রকৃতি জেগে থাকে।


২।
এখনও মুদিখানায় ইঁদুর যাতায়াত করে
সেই তোমার আঁচলে যে উচ্ছ্বলতা ছিলো
ইঁদুরের মতো আর কত ক্ষতের জন্ম দেবে!


৩।
আমি তুমি করতে করতে কখন বেলা গ্যালো
ডিম ভাত রান্না সাথে বৃষ্টি নামলে
মুদিদোকানের পাপড় ভাজা মনে পড়ে,
সেবার পা মচকে গেছিলো,
তুমি আসোনি চুন হলুদ লাগাতে...


৪।
লেগে থাকা স্মৃতিতে কতটা জল মিশিয়েছিলো হারানদা!
মুদি দোকানের আমূল দুধে সে সব বুঝিনি কখনও,
কত টাকা বাকী ছিলো, খাতাটা দেখতে হবে,
তুমি কী আবারও এসে বলবে-
রাখুন, বাকীটা পরে দিয়ে দেবেন।


৫।
ছোলার ডালের দামটাও বাড়ছে।
কতদিন মুদি দোকান থেকে এনে
পাটাতে বেটে খাওয়াওনি বড়ার ঝোল,
জীবন কী এখন লাঞ্চে পাখি খোঁজে
নাকি গাঙ্গচিল হয়ে যায় দারোয়ানের চোখে!


৬।
তিরিশ হাজার দিন পর অন্য নামে ফিরব।
বাকী থাকার খাতাতে তখন নতুন হিসেব হবে মুদিখানায়।
সে জন্মে তুমি এসে দাঁড়াবে তো!


৭।
অনেক দিন আলুসেদ্ধ ভাত খাইনি পোড়া লঙ্কা দিয়ে মেখে
আলুর দাম এবার পঞ্চাশ ছুলে খাবো।


পঞ্চাশ টাকা কিলো আলু কেমন খেতে হয়!


৮।
মুদি দোকানে এখন তুহিনার বদলে নিভিয়া ক্রিম।
নিম্নচাপের মরশুম গেলে তোমাকে দিয়েছিলাম।
তোমার কাছে অনেক ঋণ, আবার আসবে তো
দুর্গাবসন্তে!


৯।
বৃষ্টি ভেজা জলে পনিরে ছাতা জন্মেছে।
কবিতায় যেমন জল লেগে থাকে,
লিপস্টিকের উপর বিন্দু সোহাগ।
মুদি দোকানের সামনে ঘাম গন্ধ,
সবটুকু আজও তোমার।


১০।
অনলাইনে মুদির বাজার এলে বুঝি
এখন আর ট্রেনে চাপা হয় না,
ট্রেনের সে আনরিজার্ভ কামরাতে যে সুখ ছিলো
প্লেনের সেবিকার সামনে সে সব কতটা ম্লান!


নাহ, এবার একদিন মুদি দোকানে গিয়ে
হজমি গুলি নিতেই হবে, চানাচুর একশোগ্রাম
আর পাফ্ট রাইস, ও ভুল হয়ে গ্যালো-
মুড়ি।


যে মুড়ি লকডাউনে উধাও হয়েছিলো
তোমার মতোই।


রায় নয় তুমি এখন রয়চৌধুরী,
মুদি দোকানে বাকীর খাতাতে
শেষ পেমেন্টটা তুমি করবে তো গাড়ি থেকে নেমে!