গত দশ বছর ধরে
এই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন
আমি লিলুয়াতে থাকি।
আসলে থাকি হয়তো ঘুড়ির দেশে
তবু অফিসে বলি লিলুয়াতে
আমার বাবার কারখানাতে
পুজো হয়, তাই আমাকে
যেতেই হবে ওখানে।


সেবারও আমি বলেছিলাম তোমায়
লিলুয়াতে যাচ্ছি।
তুমি আর আমাকে বিরক্ত করোনি।
তারপর আমি যখন গড়িয়াহাটে
ঘুড়ি ওড়াতে এলাম মাঝে একটু নেমেছিলাম নিচে।


তখনই দেখেছিলাম।
তখনই দেখলাম অন্য এক পুরুষের সাথে
তুমি ঘনিষ্ঠ। হাসি, ফুচকা খাওয়া।
কিছু বলিনি আর।
তোমাকে ব্লক করে দিয়েছিলাম।


এরপর অনেকদিন কেটে গ্যাছে।
তুমি আমার সাথে অনেকরকম ভাবে
যোগাযোগ করতে চেয়েছ
আমি শুনতেই চাইনি। কেন শুনব বলতে পারো...


এতদিন পর তোমার প্রোফাইলে গিয়ে দেখলাম
ঐ পুরুষের ছবি দিয়েছ।
লিখেছ, করোনায় তুমি চলে গেলেও বুকে রয়েছ দাদা।
তখনই ভেবেছিলাম তোমায় ফোন করব,
করতে পারিনি।
কোন মুখে ফোন করব।


সাবধানে থেকো। খুব ভালো থেকো।
আমিও লড়াই করছি হাসপাতালে,
যদি হাঁটতে পারি
তাহলে যাবো একবার।
ক্ষমা চাইতে।


না হলে ক্ষমা করে দিও।
জীবন তো একটাই
মৃত্যুর আগে বুঝতে পারছি
মৃত্যুর আগেই জীবন পেয়েছি
অনুভূতির, বোধের...