ফেসবুকে অনেক কাল কথা বলার পরে
যখন সামনাসামনি দেখা হলো
তুমি ভালো করে কথাও বললে না।
বিশ্বাস করো আমি অবাক হয়েছিলাম
তোমাকে আমি এতটা ভালোবেসে ফেলেছিলাম তখন
যে অবাক হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।
অনুষ্ঠান চলছে। মঞ্চে একে একে লোকজন উঠছে
তুমি হাসি মুখে তাদের স্বাগত জানাচ্ছো
কত মহিলা, কত অল্প বয়সী মেয়ে
কত ঠোঁটের চাহিদা, কেবল তোমায় ঘিরে।
মেয়ে হয়ে আমার প্রচন্ড রাগ হয়েছিল
তোমাকে না বলেই আমি উঠে এসেছিলাম,
ভেবেছিলাম আর কোনদিন তোমার সাথে
প্রেম তো দূরের কথা, কথাই বলব না।
কিন্তু মাঝরাতে তোমার ম্যাসেজ এলো
অবাক হলাম। তুমি লক্ষ্য করেছিলে আমায়।
তুমি নাকি পিছন থেকে ডেকেওছিলে...
যাইহোক উত্তর দিইনি।


আসলে তুমি তো লেখক শিল্পী নও
তুমি তো প্রকৃতি থেকে চুরি করে লেখো।
সবাই তাই করে,
তবু সকলে নিজেকে কবিতা, সাহিত্যিক
কত্তকিছু বলতে খুব ভালোবাসে।
আমিও ভেবেছিলাম তোমার কবিতা
আবৃত্তি করে শোনাবো। হয়নি।
আসলে সমস্তকিছুর সংযোগ থাকে
আমার তোমার সাথে সে সংযোগ...
থাক্, ওসব ভেবে বৃষ্টিপ্রবণ নাই বা হলাম।


ভালোবাসাটুকুই থাক।
গল্পের মতো শোনালেও ঋক্
আমি এখনও তোমাকেই ভালোবাসি,
ইলিশ মাছ খেতে গেলে
তোমার কথাই মনে করি।
তুমি আমায় মন বলে যখন ডাকতে,
ডাকতে বলব কেন এখনও ডাকো,
আমি আর আগের মতো উদ্দীপ্ত হই না।


আসলে আমি নারী হলেও আমার মন আছে,
আমারও মন ছিল।
এখন বুঝেছি সবটাই মায়া,
ওসব প্রেম ভালোবাসা বলে সমুতল্যতা হয় না,
সবটাই টাকার খেলা, অন্তত তোমার কাছে।
তুমি সিঁড়ির মতো চাঁদকে স্পর্শ করেছো
নামী পুরস্কারের সাহিত্যিক হয়ে উঠেছো
আমার মতো নানা নারীর কাজল মেখে
লিপস্টিক মুছে তুমি সেরার সেরা।
বাকী মেয়েরাও তোমার সাথে সিসিডি-তে
সময় কাটানোর সময় আখিরটা গুছিয়ে নিয়েছে
বা নেবেও। আসলে এসব পথ বড্ড শর্টকাট।


এসব ভাবতে চাই না,
তবু কেমন যেন অবুঝ কবিতার মতো
ভেবে ফেলি, কেঁদে ফেলি।
আমি যে তোমায় সত্যই ভালোবেসেছি...


আজও বাসি, আগামীতেও বাসব।
কিন্তু বলতে যাবো না।
উপলব্ধি!
সে হয়তো তুমি করতে কোনও এক উপন্যাসে
আমাকে চরিত্র করে লেখার সময়। দেরি বলে কিছু নেই
তুমি ঠিক বুঝতে পারবে নীলকন্ঠ পাখি আর কাকের পার্থক্য।


মাছরাঙার থেকে হামিং বার্ডে পৌঁছানোর পথটা
কবিতা বা উপন্যাস নয় গো, একটা গল্প।
আমার গল্পের পরবর্তি অংশ পাঠক জানবে না
অজানার কুয়াশার ধূলিকণায় মিলিয়ে যাবে, বেহেস্তে...


আর তুমি সব পেয়েও না পাওয়ার কলমে লিখবে
নীলগ্রহে কথা বলা যায়, কথা রাখা বড্ড দায়।