সামাজিকভাবে পুরুষকে সহ্য করতে পারি না,
তবু নিজের ছেলের জন্য
আরও অনেক জন্ম বেঁচে থাকতেই হবে।
এক সময় ভাবতাম করোনাতে
এতো লোক মরছে, আমি মরছি না কেন?
অনন্ত ভালোবাসার যে শান্তি
যে স্নিগ্ধ স্পর্শ, যে অনুভূতি
তা তো কোন পুরুষ দিতে পারেনি।
সকলে আমায় ঠকিয়েছে। ঠগ্ ভর্তি পৃথিবী।
ওরা নদীর মন বোঝে না,
কেবল বোঝে শরীর, উপর সৌন্দর্য।
আমি তো এসব চাই না
আমি তো সুস্থ স্বাভাবিক বহমান স্রোতে
সূর্যাস্ত দেখতে চাই সূর্যদয়ের মতোই।


মৃত্যু বিলাসের চৌকাঠে
ভেসে যাই। অনন্ত শান্তি।
কিন্তু কাঠ তবু ভাসিয়ে রাখে,
আমার ছেলের মুখ মনে পড়ে যায়,
গায়ে অসহ্য যন্ত্রণা হলেও
আবার ওষুধ খাই, ডাক্তারের কথায়
করোনার প্রকটতা স্থির হয়ে আসে
নৌকোর জলের শব্দে।


দূরে স্টিমার ভেসে যায়—
তৃতীয় উপন্যাসের পান্ডুলিপি নিয়ে,
আমি চুপ করে বসে থাকি
ভালোবাসার ব্যালকনিতে।


ছেলে এসে বলে,
গঙ্গার ঠান্ডা হাওয়া লাগছে, ঘরে চলো
আমার চোখে তখন শীতলকুচি
আমার মনে তখন আরও পান্ডুলিপি জমছে।
পরের বইটি প্রকাশিত হবে, কিন্তু
কী নাম দেব তার?