তোমার শরীরে পলাশ মাখিয়ে দেবো, নীল
গন্ধের কাব্যে চোখের পলকে, মাখো ঘুমে
এলোমেলো বইপাহাড়ের বিছানায়, তুমি, হ্যাঁ তুমি
তখন শুধু আবেশিত আমায় তোমার বিলি রাজত্বে
একমাত্র অধিকার দেবে এই ঝড়-বৃষ্টি-রৌদ্রের শহরে।
আসলে, এ শহর তোমায় অস্থিরতা দিতে পারে
আরাম! সে তো দিতে পারে না, সমৃদ্ধতায়।
নীল মনে আছে, একবার বসন্তে তোমায় আবিরে
হোলি দিনে ভূত করেছিলাম বলে
তুমি বলেছিলে ‘আজ মলের সিনেমাটা দেখালে না’
আমি হেসেছিলাম।
বলেছিলাম ‘পলাশ শিমূল অমলতাসকেও চিনো
তুমি তো ফুলের চেয়ে কিছু কম নও, একদিন ঐ
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সেলফি...’
তুমি তো যান্ত্রিক। তাই আমার মনের সাথে
তোমার মনের ফারাক বিস্তর। শুকনো ঘাস
ময়দানকে আমি মিলান ভাবতে পারি,
শাড়ি-নাভি সুখ আমি অনুভব করি
তুমি সে সব বাঙালি কালচারকে
প্রতিনিয়ত বুঝিয়েছো, স্প্রিং চাই, বসন্ত নয়।
কী কান্ড!
অথচ তোমার কণ্ঠের মাধুর্য, স্পষ্ট উচ্চারণ
চোখের দৃষ্টিতে বাঙালিয়ানায় বর্তমান।
তবু বেতশ গাছের মতোই টাকা, আলো, বিনোদন
গ্রাস করছে পলাশ দিনেও।
ছোট্ট ছোট্ট সুখকে নিজের ভাবতে ভুলেছো।
ভুলেছো রবি ঠাকুর থেকে বিবেকানন্দ পেরিয়ে মা সারদা
সুখ অসুখের ঊর্ধ্বে এক জ্যোতির্ময় সত্য।
উপলব্ধি করো পলাশকে, তোমার স্পন্দনে
একবার করো।
ঝরা পাতার মতো শুকনো চাঁদ, বাঁচতে চায়
তোমার প্রাণজ হাসিতে,
বহুযুগ।