আবার তিস্তার ছবিতে হাঁটতে হাঁটতে
প্রভাত হাওয়া, জিলিপির স্বাদ
লাল পেড়ের মায়াময় প্রভাতে
হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করে।


চিৎকার করে গাইতে ইচ্ছা করে প্রভাতফেরী।
উদাত্তস্বরে মাঝিকে ডেকে
তিস্তার ইলিসে ভাসতে কে না চায়!
তিস্তার কাছ থেকে ঘুড়ে এসে
এই আকাশগঙ্গার দূষিত প্রতিচ্ছায়ায়
কী আর মন ভরে জোয়ার-ভাটায়!


শুভ আসুক অসুর বিন্যাসে
এটুকুই চাই বলেই
বার বার ছোটবেলা, বড়বেলা, বুড়োবেলায়
তিস্তাকে সাক্ষী রেখে
ঢাকের বাদনে, ছোটবেলার বন্ধুদের সাথে
রেস্তোরাঁর স্বাদ আস্বাদন করতে ইচ্ছা করে।
বোরোলির ঝাল মেখে
মহালয়ার বিকেলে সাইকেলে চেপে
চা বাগানের ভিতর দিয়ে সেবারে
চিতার সামনে উপস্থিত।
দূর থেকে দেখেই রুদ্ধশ্বাসে...


এখন হাসি পায়, ভালো লাগে
তাই তো আবার মনে হয়
ফিরে যাই বাগডোগরায়।


তখন কলকাতা বলতে ট্রেনের স্লিপারক্লাস
আর ধীরে ধীরে চক ব্ল্যাকবোর্ডের ধাপ পেরিয়ে
ল্যাপটপের যুগে এসে পৌঁছেছি।


ভুলতে পারিনি তিস্তার সাম্রাজ্য।
আবার ফিরতে ইচ্ছা করছে কাশবনে।
পাগল পাগল লাগা কবিতাহীন এক সাঁকো
আর সেই পাগলিটা।
ধুর কিছুই বুঝতে পারি না।
ভোর চারটের সময় মহিষাসুরমর্দিনী
শোনা না হলেও
চা হাতে ও যখন তিস্তার বালুচরের কথা এখনও বলে
গেয়ে উঠতে মন চায়
জাগো জাগো...জাগো দুর্গা।


সংস্কৃতটা জেনেও আজীবন স্থপতি হতে চাইলাম
একটা অভিজ্ঞান শকুন্তলাম আর লেখা হলো না।