কবিরা নিজেদের নাস্তিক বলেন কারণ সর্ব সমাজের সর্বভুক প্রাণী হয়ে বাঁচতে চায়। তারা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে চায় অসহায়তা আর নিপীড়িতময় গ্লানির থেকে মুক্তি। মুক্তি বেগ, সংযুক্ত করে কলম রচিত রেখা, রেখা নির্মিত কবিতায়। আসলে কবি মনের প্রকৃতি ভালো লাগে, ভালো লাগে রসময় জীবনের উন্মোচিত সত্যের সুঘ্রান কিন্তু সেই প্রকৃতি মাল্য যখন মানুষরূপী, মানুষ সৃষ্ট ভগবানের গলায় শোভিত হয় তখন তা সত্যই মায়াময়, রূপময়ী হয়ে ওঠে। আসলে আমাদের সত্যান্বেষণ শোভিত হয় ঐ মায়া ভরা ভগবানের পাদপদ্মে। আমরা সর্ব চেতনার সর্ব সত্য প্রকাশ করি, প্রকাশিত হওয়ার ভঙ্গিমায়। কী অপরূপ, কী তৃপ্ত এই সত্য। কবি মানস, বিশ্বকবি তাই ফিরে ফিরে এসেছে এই সত্যে। এই সত্য, সত্য সৃষ্টি করতে শেখায়। এই সত্য মায়াময় সুবিশাল প্রকাশকে করে প্রকাশিত, শ্রেষ্ঠ চেতনায়।