প্রতিবছর জুন মাসেই কিছু কিছু কাব্য ভাসায়, কবিতার জলে। পেরিয়ে নিয়ে চলে উজান স্রোতে, ভাঁটির টানে। এলোমেলো করা কাব্যতে যেমন ভালবাসা আছে, তেমন আছে মন খারাপের উপাখ্যান। কবিতার এক অমোঘ রঙ। কবিরা ছয় ঋতুর বৈচিত্র না পেলে শুধুই হাতড়েই মরত। কি লিখব, কি লিখব। ছন্দই বা কোথায়। এই দ্বন্দ্ব কি কবিদের মানায়। অবসর পেলেই কবিতা আসে। না অবসরেও তা আসে। কবিতা যার আসে, তার আসে। কবিতাই যে তাকে ভালবাসে। চিরন্তন সৃষ্টি যখন কথা বলে, তখন খুব ভাল লাগে। কবির এই মেঘদূতের প্রস্তাব। প্রেমসারিকা কবি মনের কৃষ্ণ চেতনা সত্যিই অনবদ্য। এগিয়ে নিয়ে চলে। ভাবিয়ে নিয়ে চলে। বাঁচায় কবি মাঝির মন। ভাসায় কবিতার আপনজন।
দূর দূরান্তে কৃষ্ণ রাধা মিলন, অমিলনের প্রশ্ন কাব্য নয়, সাজু-রূপাইয়ের নক্সীকাথা তার সাক্ষী নয়, কবিতাই জীবন্ত দলিল। সমাজের ওঠা নামা, ভেসে চলাই কবিতার রকমফের। কবিতাই ভাবনার আস্থা। কেউ বুঝতে চায় না। না বুঝুক, কবিতা তার নিজের মতোই বাঁচবে, ভাষার সাথে। সন্তান যেমন মা বলতে শেখে, কবিতাও তেমন লিখতে শেখে। আঘাতে। আঘাত তো সর্বত্র। কেউ তা গুছিয়ে লিখে রাখে, কেউ মনে মনে জমায়। ঝগড়া, চিত্কারেরও কবিতা আছে। মৃত্যুর কান্নায় যেমন ছন্দ ছিল। এখন আবার সব হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের কর্পোরেট। তবু কবিতা আছে। বাংলা ভাষার আদিম বীজ এই কবিতা। চর্যাপদ থেকে হালের ককর্টক্রান্তির দেশে... দীর্ঘ পথ। কবিতার ইতিহাস না হয় অন্যদিনের রসদ। আজ চলুন না একটু ভিজি, কবিতার ট্যাক্সিতে। টুং টুং করা রিক্সা হাতে টানা, হাতে গোনা। সাইকেল রিক্সাতেই পেটকাঁটি, চাদীয়ালী স্বপ্নের মতন এই কবিদের সংসার এগিয়ে চলুক, কবিতার সাথে। কষ্টের রাত থেকে কবিতার সাফল্য প্রভাতে...