আমি তখন থাকব না, তবু একশো বছর পরে বাংলা-কবিতা ডট কম-এ আমার পরবর্ত্তী উত্তরসুরি লিখবে। এ আবার হয় নাকি। আমি জীবিত থাকব তখনও! কবিতার পাতায় আমার লেখা তখনও প্রকাশিত হবে! হ্যাঁ হবে। আমি যে খাতায় অনেক অনেক কবিতা লিখছি, তা তো রোজ একটা করে আপলোড করলেও একশ বছরে শেষ হবে না। তাই তখন নামটা পাল্টিয়ে লিখতে হবে মৃত কবির কথন।
সত্যিই কবিতার জন্য কতই না পাগলামো। আর অন্য কিছুতে এই পাগলামো নেই। কেন নেই তা জানি না। কবি সত্তার স্ফুরণ এই কবিতাতেই। রবি ঠাকুরের কবিতা আজি হতে শতবর্ষ পড়ে.... কেন আরও হাজার বছর, বাংলা ভাষা যতদিন বাঁচবে ততদিন থাকবে। কিন্তু আমরা যারা না-কবি। যারা না জেনেই এই কবিতার সাগরে ডুব দিয়েছি তারাও বেঁচে থাকব। শুধুমাত্র আবেগের জোড়েই একশো বছর পরও এই বাংলা-কবিতা ডট কম চলবে। তা বাঁচিয়ে রাখবে বাংলার প্রজন্ম। বিপ্লব না করতে পারি, হাতিয়ার নিয়ে খুন না করতে পারি, কবিতা তো লিখতে পারব। ধর্ম হোক কবিতা, কবিতাই হোক জীবনের শ্রেষ্ঠ সাধনা, অন্তিম শক্তিকে বিভিন্ন নামে পুজো করলেও তা যে অন্তরে রয়েছে। মৃত্যু পরে অবচেতনে সব এক। এই এক হয়ে যাওয়ার পথেই কবিতা এগিয়ে চলার পাথেয়।
পৃথিবীতে সব ধর্ম, ভাষা মিলিত ভাবে তাই কবিতার জয়গান করবে। হয়তো খাদ্য, খাদক তখনও থাকবে, কিন্তু কবিতা নষ্ট হবে না। কবিতার ধর্ম সমস্ত ভোট জিতবে। একটাই চেতনা, তা কবি চেতনা। বিনিময়টুকু হবে কবিতায়। কবি উদযাপনের নতুন পন্থা হোক সফল। হোক আজ কলরব কবিতার জন্য কবি থেকে সাধারণে। সাধারণ থেকে কবিত্বে। কবিত্বের পথ বড় পথ। তা কবিরাই দেখাবেন জীবনচর্যায়। অর্থ মস্তিষ্ক সবটুকু নয়। কবিতাই শ্রেষ্ঠ অঙ্গীকারের রসদ। আমার আপনার এক মাত্র ধর্ম হোক কবি।