কবিতা শিখতে চায় পাঠক। কবিতা শিখতে চাওয়ার সার্থকতা আমার জানা নেই। তবে নতুন করে কবিতা যে সেও লিখতে চায় তা আমি বুঝতে পারি। আমার লেখায় যে সে আকৃষ্ট, নিজেকে খুঁজে পায় না অনস্বীকার্য। বাংলা ভাষা শিক্ষার গোড়ায় গলদ তো রয়েই গেছে। শুধুমাত্র পাঠ্য শিক্ষায় কী জীবনী শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়। শংসাপত্র আর গবেষণা কখনই তার মাপকাঁঠি হতে পারে না। এই যে কবিতার নানা ধরণ ও নিয়ম, তা তো শুধু ছন্দের তিন পর্যায় নয়। ভাষার নিজেস্ব সব মারপ্যাচ আছে। ধীরে ধীরে সেই সব ধাতস্ত করতে হয়ে। সময় লাগে। কবিতা দিনে দুটি করে লিখতে হবেই। তবে না। ঠিক-ভুল, ছন্দ-নির্বন্ধ সব বোঝা যায়। আশি শতাংশ কবিতাকে নিজেকেই হত্যা করতে হবে। বাকি কুড়ি শতাংশ নিয়েই দেখবে টানা হ্যাচরা পরে যাবে। কবিতার নিজেস্ব কিছু রূপতত্ত্ব থাকে। থাকে বেঁচে থাকার রস। সেই রস পাঠক যখন পায় তখন লাইক কমেন্ট দিতে বাধ্য। এভাবেই বাঙালি জাতির কবিতারা বেঁচে থাকবে অনলাইনে অনন্তকাল। আর তোমাদের সভ্যতার নানা সাপ লুডো এগিয়ে চলবে মাঝ সমুদ্দুরে...। টাইটানিকের মতো। তবে কবিতার সলিলসমাধি হয় না। কাগজের ঠোঙা ছিল। এখন অবশ্য প্লাস্টিকের যুগ। আবার যুগ পাল্টাবে। এক ভাষা থেকে অন্য ভাষা ছড়িয়ে যাবেই কবিতা। কেউ কান্না, কেউ হাসি, কেউ রাগে সেই সব কবিতাদের খুঁজে পায়। কবিতা তাই শেখা যায় না। উপলব্ধি করতে হয়। অনুভব করতে হয়। অনুরণনে থাকে কবিতা। আর মুক্তগদ্যের মতো যারা জীবনী কবিতা লেখেন...তা তো ভালই লিখুক না। গদ্য ভাবনা যে নতুন। পদ্য-কবিতা যে অনেক পুরাতন। সেই চর্যাপদের যুগ থেকেই। বা তারও আগে....মহাকাব্যিক সেই মহাভারতীয় কালে...রামায়ণের সীতা যুগে। সবটাই তো কবিতা। সৃষ্টি থেকে ধ্বংস...যেমন তোমরা চোখের পলক ফেলে আবার তাকালে...দেখো কবিতা সৃষ্টি হল মহাবিশ্বের কোনও এক প্রান্তে...প্রতি মিনিটে ধর্ষণের মতোই...এখন তুমি জানো কি নিয়ে ভাববে, ভালবাসার কবিতা না ধর্ষণের কবিতা, বিষয় নির্বাচন যে তোমার হাতেই পাঠক।