কবিতার পিছনে অনেক গল্প লুকিয়ে থাকে। আজ সে সব কবিতার কথা বলি। মাথার দিব্যি নেই তবু হয়তো একদিন মানুষ হতে পারব, পৌঁছাতে পারব কবিতার উপত্যকায়। কবিতার খোঁজ যে করে সে তো আসলে আত্মা। সে কি আর মানুষ রয়েছে। কবিতার পাগলামোটাও আপেক্ষিক। আমি যে ভাবে কবিতাটা বুঝব, আপনি অন্য ভাবে বুঝবেন। এখান থেকেই কিন্তু আপেক্ষিকতা। কবিতার গূঢ় অর্থ, কবিতার আলোচনার কঠিন অথচ সরল তত্ত্ব সকলে বোঝে না। কবিতার খ্যাতি লাভ করলে জানবেন তার ভিতরে সরলতা আছে, কিন্তু সরলতা কবিতার ভিতর থাকলে তা খ্যাতিমান কবিতা নাও হয়ে উঠতে পারে। কবিতা লেখার শৈলী আলোচনা অন্য একদিন করব। আজ বলি সোনারকেল্লার মুকুলের কথা, সে কিন্তু চিহ্নিত করেছিল দুষ্টু লোক। সেই দুষ্টু বিষয়টা তো আসলে সমাজকেই বলা। সেটা বুঝতে পেরে আজও হাসি পায়। এই চেতনাটাই তো কবিতার জন্ম দ্যায়। প্রতিবাদ করার ক্ষমতা দেয়। ভাল মানুষ সকলে হতে চায়, কিন্তু টাকা রোজগারের মেধায় সকলে হারিয়ে যায়। কোথায়? সেই যে আমি এক নম্বরি জানি, দুই নম্বরি জানি...এগুলোর ভিতরে। তাই তফাতটুকু শিরদাঁড়া গড়ে দ্যায়। আর শুরু হয় নতুন কবিতার খোঁজ। যতদিন সম্মানে আঘাত না লাগে ততদিন কবিতা কী পাওয়া যায়।
এই যে সকলে বলে প্রাক্তন প্রেম। সেই প্রেমগুলো যে আজ আমার লেখার রুটিরুজি সেটা তো কবি ভাবে না। ভাবতে হবে কবিতাদের নিয়ে। বুঝতে হবে, পুরাণ, কোরানের সাথে জড়িয়ে ছন্দ, কবিতা। সেই পথ ধরেই আমরা পৌঁছাতে পারব কবিতার উপত্যকার কাছাকাছি। কবিতা যে গূঢ় চেতনা নিয়ে জন্মায় তা একদিন, দুদিন নয় অনন্ত কাল প্রশ্ন করতে থাকে, কবিতা তৈরি হয়ে প্রকাশ হওয়া মানে তার ভিতরে প্রাণ সঞ্চারিত হল। তা পাঁচ বছর কেন হাজার বছর পরেও অন্য কবির কলমে একই ভাবে একই প্রশ্ন নিয়ে প্রকাশিত হবে। সকলে যদি পুরাণ-বিজ্ঞান-কবিতার এই চক্রটি বুঝে ফেলতেন তাহলে এতো মারপিট, রক্ত, ত্রাস, দখল, সাম্রাজ্যচেতনা আসত না। শান্তির নব্য চেতনা, মানুষের মানবিকতার সুস্থ ভাবনা কবিতায় প্রকাশিত হত।
কবিতার উপত্যকা তো আসলে শান্তির নতুন দিশা। সে দিশায় পৌঁছাতে গেলে তাই আজকে কটাক্ষ শুনতেই হবে। তাই তো বলি সমাজচেতনায় বিদ্ধ হলে তবেই তুমি কবিতা তথা সাহিত্যচর্চার জন্য ঋদ্ধ হতে পারবে।
সকলে সব বুঝে যাক চাই। তবে এত দ্রুত সবাই বুঝবে সে আশা নেই। তবে কবিতার চলার পথে সেই ভাবনার পরিবর্তন ও শুভ বুদ্ধি উচ্চারিত হবে এটাই আশা রাখি। আর না বুঝলে কী বুঝলেন না জিজ্ঞাসা করুন। যতই শিক্ষিত হন সব জানা, বোঝা এক জন্মে সম্ভব নয়। অনন্ত মানবজন্ম সব শেখাতে পারে না। পরমহংস যা পারেন তিনদিনে, তোতাপুরির তাতে চল্লিশ বছর সময় লেগেছিল। সকলে পরমহংস হয় না। পরমহংস মানে কিন্তু আসলে কবিতাই। জল ও দুধের মধ্যে পরম হংসই পারে দুধটুকু খেতে। রাজহাস পারে। আর তাই কিছু কবিতা কালজয়ী হয়। সেই কবিতার খোঁজ করুন সক্কলে। তবেই তো পাবেন কবিতার উপত্যকা একটু শান্তির বাস। সুবাস। প্রতিবাদের রক্তক্ষয় হোক, তবেই তো মানুষ হয়ে জন্মাতে পারব। কবিতার জন্য সেটুকু করতেই পারি।