কবিতায় তোমাদের কাঁদতে ইচ্ছে করে! আমার করে। কবিতায় নতুন করে বাঁচতে ইচ্ছে করে। কবিতার নিজেস্ব ভাবনায় চলতে চলতে নতুন করে ভাবতে ইচ্ছে করে। কি ভাববো!! যে কবিতার বিষাদে ডুবে থাকি। এত আনন্দ, এত ইচ্ছা, এত চেতনা, এত আনন্দ, এত উদারতার ফলাফল তো শূন্য। কবিতায় এত প্রতিবাদের পরেও কবিতা কাঁদছে। কবিতার মতো মানুষ কাঁদছে।
সিংহ ঠিক তার শিকার ধরছে। আমরা যতই বলি না কেন, সভ্যতা এগোচ্ছে, চিতা, সিংহ, বাঘেরা যে বড়ই মাংসাশী। তাই সন্ত্রাসী হত্যালীলা তারা করেই চলেছে। এরপর ধীরে ধীরে কত শত ভাবনার আলো যুগ যুগ ধরে উড়ে যাবে, আবার একটা কৃষ্ণ দ্রৌপদীর মহাকাব্যিক মহাভারত কবিতা লেখা হবে। কিন্তু সেই কবিতারা মুক্তি দিতে পারবে না হিংসার। কবিতার নারীরা কেঁদেই যাবে। কবিতার নির্দিষ্ট, অনির্দিষ্ট ভালবাসা এভাবেই চিরন্তন হবে। জটিল থেকে জটিল হবে কবিতার ভাষা। সরলতাহীন কবিতাদের কেউ পছন্দ করবে না। ফিরে যাবে সেই সান্ধ্য ভাষায়। কিছু শিক্ষিত সেই ভাষা বুঝবে। আর বাকিরা মৃত্যুর ফ্রেম, মৃত্যু রক্ত মাখবে গায়ে। কেন মাখবে, কি ভাবে মাখবে, জানি না। কিন্তু সময় এগিয়ে চলবে, বাস্তবতা জুড়ে সময় এগিয়ে যাবে। নির্দিষ্ট এক কান্নার দিকে। তোমরা যারা হাসছ, বৃষ্টিতে প্রেমের কবিতা লিখছ যেন এই সন্ত্রাসী হামলায় তোমার রক্ত একদিন মাটিতে লুটাবে। সেই আমার কবিতার কান্নাদের বুঝবে। অভিশাপ না, কবিতা লিখতে লিখতে সভ্যতার অন্ধকারকে চিন্তে শিখেছি। কবিতা বাঁচুক, তাহলে কান্নার থেকে উত্তরণ হয়তো আলো এনে দেবে। ভালবাসা চাই। শান্তি চাই। বাঁচতে চাই। আসুন একটু বৃষ্টিতে ভিজি সকলে মিলে। হাতটা ধরুন...