কবিতার উপরে এত জোর কেন। কবিতা তো আমায় পুরস্কার দেবে না। কবিতা তো আমায় ভালবাসা ফিরিয়ে দেবে না। কবিতা তো মৃত বাবাকে জ্যান্ত করে দেবে না। তবে কেন কবিতা লিখব রোজ!! এই ভাবনাগুলো মাথায় আসে। কেন আসে! জানি না। কবিতা লিখতে হবে এটা জানি। কবিতা পায় এটা জানি। কবিতার নিয়ম জানি না। কবিতার মনন সে অর্থে বুঝিনি। তবে বুঝব। কবিতা লিখতে লিখতে কবিতার কাছে পৌঁছাব। কবিতার ভিতর লুকিয়ে থাকে অনাবিল আনন্দ। কবিতার মনে লুকিয়ে থাকে স্নিগ্ধতার রেশ। কবিতার অন্দরে লুকিয়ে থাকে সীমাহীন অসীম এক চেতনা। কবিতার ভিতরে থাকে অন্য কবিতা।
কবিতা লিখে আমি খুশি করতে পারিনি। কবিতাও হয়নি তেমন লেখা। ঘুষ দিয়ে অবশ্য কাউকে কবিতা লিখতে বলিনি। শুধু জানি কবিতা চলবে। আমায় ঠিক টেনে তুলে নিয়ে পৌঁছে দেবে কবিতার কাছে। কবিতার অনন্ত পথ আমি স্পর্শ করবই। কবিতার চেতনায় আমি মুগ্ধ চরাচর পেরিয়ে যাব। কবিতা আমায় কি দেবে তার জন্য লিখি না, লিখব না। শুধু জানি চেষ্টা চালিয়ে যাব। আমি কবিতা বিশ্বাসী। তোমরা ধর্ম নিয়ে মারামারি করো। বলো এই ধর্ম শ্রেষ্ঠ। সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা চলুক। তবু আমি কবিতায় বিশ্বাস রাখব। ঠাকুরে বিশ্বাস সকলে রাখে, আমি না হয় কবিতাকেও দোসর করলাম। রাখবে তোমরা কবিতায় বিশ্বাস। কবিতাকে ধর্ম মানবে?