বৃষ্টির সাথে কবিতার সম্পর্ক দীর্ঘকালীন। হয়তো টিপ টাপ, টুপ টাপ, টুপ টুপ ছন্দ থেকে ঝম ঝম, ঘরাং ঘরাং বাজ...এ ভাবেই কবিতার সাথে মল্লার রাগ মিশে গ্যাছে। আমি তো নিমিত্ত, রাধাকৃষ্ণ...কবি কালিদাস তারাও এই সিন্ড্রোমে আবদ্ধ। কত রকমের অসুখ হয়। কবিতা অসুখ তো রয়েছে। হয়েছে। সে আর আলাদা করে কেন বলি। এখন শুধু বলতে ইচ্ছে করে কবিতার মধ্যে বদ বৃষ্টিও ঢুকেছে। শ্রাবণ মানে বাইশের কষ্ট, আর কষ্ট থেকেই নতুন প্রেম। হারিয়ে পাওয়ার প্রেম। সেই প্রেমের কবিতারা ভীষণ সুন্দর হয়। প্রেমের শমন তো কবিতাই দিতে পারে। আর সেই পথ ধরে এগিয়ে চলে মুগ্ধ অনীশ। অনীশ জানে কাব্য জীবনের থেকেও প্রেম জীবনে বৃষ্টি অনেক বেশি অপরিহার্য। ব্যবহার হতে হতে অনীশ জেনে নিয়েছে বৃষ্টি কি। বৃষ্টি কেন। বৃষ্টি কোথায়। আরও জেনে নিয়েছে কি ভাবে বৃষ্টিকালে কবিতা সিন্ড্রোম আসে। তবু আশা করেই অনীশের দিন কাটে। বৃষ্টির কবিতায় বারংবার হারিয়ে যেতে চায়।
আর এভাবেই সৃষ্টি হয় কবিতা। কবিতার থেকেও বড় উপন্যাস। মহাকাব্য। আর ছোটগল্পগুলো সেখানে থেকে যায়। অণুগল্পের প্রতিটি ফোটায় বৃষ্টিরা ঝর্ণা খোঁজে। কবিতা তো এই বৃষ্টির জলধারা ধরেই নদী ও পড়ে সাগর হয়ে যায়। তোমরা সে সব খবর রাখ না। খালি পুজো, সেল এই উদযাপনে ব্যস্ত। আমার আজ কবিতা সিন্ড্রোম। বৃষ্টি আমায় তা জাগিয়ে দিয়েছে। সেটা বুঝতে শুরু করেছে অনীশ। অনীশ এখন তাই মাঝির খোঁজে ছুঁটছে। নদীর পার দিয়ে পৌঁছে যাবে জনশূন্যপুরে। সেই জনশূন্যপুরে লুকিয়ে আছে প্রাণদেবতা। প্রাণদেবতার সাথে দ্যাখা তো করতেই হবে। সেই তো বলে দেবে বৃষ্টির ভালবাসারা কিরকম। কেনই বা সে এই ভালবাসায় মিশে যাবে। কেন মুক্তি পাবে নতুন যৌবন, বদ্ধ হবে বার্দ্ধক্য। কবিতার নতুন দিন, নতুন ভাবনা জাগবে। জাগবে চিরন্তন আনন্দধারা। বয়ে যাবে ভুবন ভীষণ এক সম্ভাবনায়। শেষ হবে রক্তক্ষরণ, বিষাদ, হামলা, ধর্ষণ, বিদ্বেষ ও অজানা সব গালিগালাজের জনপদ। অনীশ দাড়িয়ে থাকবে উঁচু টিলায়। আমরা নিচে দাঁড়িয়ে শিখব কবিতার ভাষা। সিন্ড্রোমে আচ্ছন্ন হচ্ছে মন, মুগ্ধ হচ্ছে জলধারা। বাঁচতে ইচ্ছে করছে আবার...বিস্বর্গের কাব্যগাঁথাই দেখাবে নতুন করে অ-এর খোঁজ। আর সেই অ...পৌঁছে দেবে সাধারণের কাছে অ-সাধারণ হয়ে ওঠার কবিতা। শুনবেন তো আপনি-তুমি-তোমরা, অনীশ এখন মূর্ত হচ্ছে, বিমূর্ত ভাবনা বদলে যাচ্ছে স্নিগ্ধতার মেঘে...শুধুমাত্র কবিতার জন্য শুধুমাত্র কবিতা অসুখে সুখী সিন্ড্রোমে ভেসে চলুক রসশিক্ত সাহিত্য বাংলা।