কবিতার কথায় রাবেন্দ্রিক প্রাসঙ্গিকতা আসে। রবি ঠাকুরের মৃত্যু বার্ষিকী পালন। সেটা অছিলা। উনি হৃদয়ে, চিন্তা-চেতনে আছেন। কারণ উনি যা বলে গেছেন, তাই আমরা রোজ রোজ বলে চলি। কেন বলি, নতুনত্ব চাই। কবিতায় তাই সব হারিয়ে নতুন কথা বলতে চাই। কিন্তু তাতে রবি চেতন পুরাতন হয় না। কবিতা তার নিজস্ব ভাবনায় এগিয়ে চলে। বন্ধু দিবসে তাই রবি সবচেয়ে বড় বন্ধু। কবিতা তাই যেখানেই যাক রবীন্দ্র চেতন পূর্ণ হবেই।
আমি অন্যযুগে রবি হতে চাই। অন্যযুগ তো প্রাণ-মানষ নাও হতে পারে। সেটা বোঝার ক্ষমতা এ যুগের মানুষের নেই। এ যুগের মানুষ আশ্রয় নিতে চায়। কিন্তু নিজের ভাবে না। কবিতা তো নিজের সর্বস্ব। সে তো আত্মার দহন। কবিতার এই কথাই রবি বলেছেন, বলছেন, বলবেন। এ যুগের আধুনিকরা প্রশ্ন তোলে। তুলুক। রবীন্দ্রনাথ হতে চাই। চাইব। কারণ সেই বৃহৎ আমি ভীষণ ভাবে ছুঁতে চাই। তাতে আমায় আত্মা জীবনের অপেক্ষা করতে হলে করব। দূর দৃষ্টি আর কবিতা মিলিয়েছিল রবীন্দ্রনাথ। কবিতায় অনেক কবি এসেছেন, আসবেন...তবে রবি প্রতিভা অনন্য এক চেতন। যে চেতন মানুষের কথা নয় প্রকৃতির কথাও ভাবতে জানে। শুধু নিজের নয়, পৃথিবীর কথা ভাবতে জানে। যে আবিস্কার, ডিএনএ এখন আলোচ্য...তা যে মহাবিশ্বের মহাকাশে অনেক আগেই কবিতা হয়েছে। আফ্রিকা থেকে মৌলবাদ আগেই উচ্চারিত। বন্ধুত্ব থেকে ভালবাসা সবই বলেছেন। অনেক কম ঘুমাতেন। লিখতেন। অর্থের জন্য অনেক লিখতেন। আর সেই লেখায় নতুনত্ব আসত। গ্রে ম্যাটারে ছিল অতুলনীয় সহনশীলতা। আঘাত। আঘাতের পর আঘাত। তবু বন্ধু পেয়েছেন। পেয়েছেন সেই ছন্দ। যা আমি পেলাম না এ জীবনে। তাই তো আরও বেশি করে রবি হতে চাই।
না রবি কোনও ভগবান নয়। রবি চেতনা। রবি মানবতা। রবি অনন্ত আলোর দিশারী। পারলে তোমরাও বুঝো। কবিতা তাহলে তোমাদেরও স্পর্শ করবে। আর না বুঝলে...