অনেককাল কবিতার পথ ধরে হেঁটেছি। উপলব্ধি ভীষণ ভাবে প্রয়োজন। কবিতার ভিতরে উপলব্ধি নতুন করে বাঁচতে শেখায়। আমি যখন বেঁচে থাকি, আমি যখন না মরেও বেঁচে থাকি, আমি যখন মরতে মরতে মরতে বেঁচেই থাকি তখন উপলব্ধিগুলোই কবিতা হয়।
মরে গেলে ভাল হত। আত্মহত্যা করলেও হত। শান্তি মিলত, কিন্তু তাতে মহাপরিনির্বাণ তো আসত না। আসত না চেতনা। চেতনার আলাদা এক রহস্যবোধ রয়েছে। সকলে সে পথে চলতে পারে না। সকলে সে কথা বলতেও পারে না। কবিতা এগিয়ে চলে। কোন পথ, কি পথ, কবিতার পথ। পথ তো শপথে। পথ তো মুক্তির। পথ তো যোগ চেতনায় মুক্তির। কবিতাই তো সেই যোগ। যে যোগ আমার আত্মার দহনের থেকে মুক্তি দিতে পারে।
নিশ্চয়ই অনেকে বুঝলেন না। নিশ্চয়ই সব চুপ। কিন্তু জেনে রাখুন চেতনার উপলব্ধি প্রতিটি মানসের হয়। প্রতিটি চেতনার অনন্ত এক রূপ আছে। সাধারণের পথ সরল। যোগীদের পথ কঠিন। কৃচ্ছসাধন তো সকলে পারে না। তাই কবিতার উপত্যকায় সকলে সঠিক মূল্যায়িত হয় না।
কবিতা তো উপলব্ধির। উপলব্ধ বাস্তবতার উপলব্ধি। যদি আমরা উপলব্ধি করতে পারি, তাহলে কবিতা আসবেই। কবিতাতে মন প্রাণ ভালবাসা ভাসবেই। ভাসতে হবেই।
কথা বল, না বল, উপেক্ষা কর, মনের মধ্যে সমস্ত কবিতা আমার জন্যই থাকবে। সে আমি নয় নাই বা দিলাম আলাদা সুখ ভোগ। একটু শান্তি তো দিতে পারি। চেতনার...উপলব্ধির...মুক্তি...মায়ার...অনন্ত অনুরণনের...