অলস। বড্ড অলস। কবিতা লেখকরা অলস। ভাববাদী। হতেই পারে। কবিরা ভাবতে পারে। বলতে পারে। এটাই তাদের ক্ষমতা। কবিতার নিজস্ব কিছু উপকরণ রয়েছে। কবিতার অনেক অনেক ভাবনা রয়েছে। শুধু বুঝে নিতে হবে। কবিতার চেতনাগুলো বুঝে নিতে হবে। আমরা গল্প করি। সময় নষ্ট নয়। আরও বেশি করে সমাজ নিয়ে ভাবতে থাকি। আরও বেশি করে চলতে থাকে অণুরণন। কবিতা তাই। কবিতায় সমাজের কদর্য রূপ ফুটে ওঠে। কবিতা তার নিজস্ব পথ নেয়।
তবে কবিতা এখন বাঙালির কাছে ক্রিকেট খেলার মতো। কারণ কবিতা লিখছে। পোস্ট করছে। অনেক নাম। নাম হচ্ছে কবিতার। কবিতা যে এসবের উপরে। কবিতা লিখে নাম হয় না, কবিতা যে পড়ে তার শান্তি হয়। তবে মানুষ, বিশেষত্ব বাঙালিরা সুখ খোঁজে। কবিতার সুখ। শান্তিটা বোঝে না। তাই নিজেই নিজের কবিতার বই বের করে। নিজের টাকা খরচ করে। এটাই বিলাসিতা।
কবিতা এভাবে সত্যই হয় না। থাকুক অলসতা। থাকুক ক্ষিদে। থাকুক ক্ষুধা। থাকুক যক্ষ্মা। অনাহার। কবিতা সেখানেই জন্মায়। কবিতা লাশ কাটা ঘরের জন্য। কবিতা ফেবু-তে টাইপ করার জন্য নয়। লাইক বিচার্য নয়। কবিতার সহজ পথ কবিতার মতোই। আর কবিতার বিচার কাল করে। কোনও ব্যক্তি তার বিচার করতে পারে না। কবিতার নিজস্ব রূপ রয়েছে। বিচারক যিনি তিনিও তো কবিতার শেষ পাঠটা জানেন না।
কবিতার সৃষ্টি আছে, শান্তি আছে, শেষ নেই। এটা বোদ্ধারা বুঝে গেলেই বেশির ভাগ কবি, কবিতা লেখে ছেড়ে দেবেন। কবিতা অন্যকিছু। কবিতা অন্য মাপের। সকলে সেই মাপ বুঝতে শেখেননি। এটাই দুঃখের। কবিতা চেতনার। আগে সেই চেতনায় উন্নীত হোক। ক্রিকেট ছাড়াও অন্য খেলা আছে। সেগুলো খেলতে শিখুক বাঙালি। সমস্তটাই ভ্রু কুঁচকে হয় না। আগে নিজে শেখানে দাঁড়াতে শিখুন। তারপর কবিতা আসবে। কবিতা একটা অলিম্পিকের সমস্ত খেলার থেকেও বড় খেলা। সবাই এই খেলা বুঝবেন না বলেই নিজের নাম কিনতে চান। এটাই চটজলদি অলস বাঙালির রূপ। অপরূপ।