আকাশটা কালো। আকাশে মেঘ। আকাশে বিদ্যুৎ। আকাশে ভয়। আকাশে আনন্দ। আকাশের বৃষ্টিস্নাত কবিতা। আকাশের সেই সব পথ ধরে এগিয়ে চলে পথ। এগিয়ে চলে ভালবাসা, নিয়ে নতুন শপথ। আকাশের সেই স্নিগ্ধ হাসি বড়ই ভালবাসি, কবিতায় মিশলেই আকাশলীনার কাছাকাছি আসি। কবিতা বড়ই চঞ্চল, যেতে চায় পেরিয়ে, সমস্ত ঘুম এড়িয়ে। আকাশ। আকাশের চির চেতনা মুহূর্ত গ্রাস করতে চায়। আকাশের মহাবিশ্ব যোগাযোগ প্রখর। কত তরঙ্গ। কত ইথার। আকাশলীনা। আকাশময়।
কবিতার সেই চির পরিচিত বিষাক্ত কন্যা আঘাত করে। বিষ দেয়। বিষাক্ত জিভ দেখায়। আখিরে কিন্তু সেই আকাশের কাছে কবিতাই চায়। যে কবিতারা এখনও বড়ই প্রাচীন, সেই পথেই হতে হবে স্বাধীন। কবিতার পথে তাই আকাশলীনা ধারালো তলোয়ারের রক্তরা থিত হয়। শরীরের বিন্দুতে বিন্দুতে কবিতার শিহরণ লাগে। আকাশের সৌন্দর্য ঠোঁটের নরম স্তরকে গোলাপী করে। চোখের কোণে কাজল লাগে। আকাশলীনা নিজেই আপ্লুত। কবিতা তাকে ঝর্ণার সামনে দাঁড় করায়।
আকাশলীনা বিষাক্ত থেকে কবিতা হয়ে ওঠে। তার রণংদেহী মূর্তিরা তখন শৃঙ্গার চায়। অনেকটা ভালবাসা। কবিতা ছাড়া সেই ভালবাসার আলো কেই বা দিতে পারে। এ এক চির বন্ধন। সূত্র গাঁথা রয়েছে। আকাশলীনার সাথে কবিতার। কবিতার সাথে আকাশলীনার।