অনেক রহস্য ঐ প্রাণশক্তিতে। তোমরা কাছের মানুষ চাও। মনের মানুষ চাও। আর প্রাণশক্তি সমস্ত লঙ্ঘন করে এগিয়ে চলে। নৈস্বর্গীক এক আনন্দযাত্রা। মন, বুদ্ধি ও অহংকার এই তিন থেকে মুক্ত হতে এগিয়ে চলাই প্রাণশক্তি। সেই ক্ষমতা, আত্মার সেই চেতনা কবিতার মূলাধার। কবিতার চিন্তন কুন্ডলীতে রয়েছে ওঁ। রয়েছে স্থিতি ও বিন্যাসের বীজ মন্ত্র। কবিতা তো সে সব নিয়েই এগিয়ে চলে রোজ। রোজই এগিয়ে চলেছে। আমরা তো সবটা বুঝি না।
কবিতা যদি সত্যই বুঝে যেতাম তাহলে মানবিক স্থান থেকে স্থানান্তরে এগিয়ে যেতাম। সম্পূর্ণ হতো একটু সুবাস থেকে আলোকময় জ্যোতি। প্রাণশক্তির এই পথগুলো আজও অপরিষ্কার। আমি ধারক ও বাহক হয়ে উঠতে পারিনি। তাই কবিতার সেবা ও পরিসেবা কিছুই দিতে পারছি না। কেন পারছি না জানি না, তবে পারব একদিন।
সেদিন তুমি দোষ দিতে পারবে না। তুমি বলতে পারবে না কবিতা আসলে কী...তুমিও বলবে কবিতাই আমার প্রাণশক্তি। প্রাণশক্তি কোনও প্রেম নয়, প্রেমের ঊর্ধ্বে এক অনন্ত চেতন। মননের সৃজনীশক্তিতে তা অনুভব করতে হয়, চিরকাল। সকলে প্রেমে এসে ভাবে বাচ্চা সংসারে জীবন শেষ, সংসারের পথ অনেক বড়। সন্ন্যাস রয়েছে। বৌদ্ধ চেতন রয়েছে। হজ রয়েছে। সবই তো সেই প্রাণশক্তিকে খুঁজে পাওয়া, নতুন চেতনায়।