অবিশ্রান্ত সমুদ্র ঢেউ,
তীব্রতর সমুদ্র উচ্ছ্বাসে
ভাসিয়ে নিয়ে চলেছে স্বপ্নকে
দূরবর্তী দ্বীপের স্তব্ধ জ্যোৎস্নায়।
সেখানে মানুষের মুখ অপ্রতুল
কেবল দ্বীপান্তরিত গীতবিতান
রবি ঠাকুরের শান্ত চোখ
আমার বুকের গভীরে আঁকছে
নদীর মতো স্রোতস্বিনী আঁচল।
অনন্তের পথে
আমিও উপলব্ধি করছি
আমার পুরুষ বন্ধু
রবি ঠাকুর ছাড়া কেউ কোনদিন
ছিলো না,
কেউ কোন দিন আসবেও না।
একাকীত্বের জোনাকি ছাদে
ঐ মানুষটি
আমার সুখ দুঃখ্যে
অনন্ত চিৎকারে
পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।


নোনা চোখের কবিতায়
মাস্তুলহীন দ্বীপে
উনি পথ দেখাবে,
উনি পথ দেখায়।


এখানে কী তবে ঈশ্বর এসেছিলো!
গীতবিতান রেখে গ্যাছে
নাকি অন্য কোন মানুষ
অপেক্ষা করছে নারকেল গাছের ঝোপে।


রবীন্দ্রনাথ,
ও রবীন্দ্রনাথ,
তুমি উত্তর দিচ্ছো না কেন?
ঠাকুর একবার বলো,
একবার কথা বলো,
তোমার স্বর আমার বাঙালি সত্ত্বাকে
অমরত্ব দেবে।
দেবেই।
রবি ঠাকুর, ঠাকুর, ঠাকুর