জ্যাঙরা স্টেশনে যখন নামলাম
রাত বারোটা বেজে সাত।
রিক্সা টোটো এসময় থাকে না
আজও ছিলো না।
হাঁটছি, অন্ধকার। খেলার মাঠ
এখনও পনেরো মিনিট।
হঠাৎ মনে হলো
কে যেন দেখছে।
দূরে এক সুন্দরী মহিলা
মহিলা নয় বয়স্কাই তো মনে হয়।
আরে এ তো পালের মিসেস
এতো রাতে এখানে কেন?
এক দৃষ্টে তাঁকিয়ে
ওদিকে লেক্সির মতো একটি কুকুর
ঘেঁউউউ করে উঠতেই বুঝলাম
কিছু একটা ঘটেছে।


পালের বউ এগিয়ে আসছে।
ফোনে মেসেজ এলো
দাদা কেমন আছেন?
আননোন নম্বর।
তাকিয়ে দেখি কেউ নেই।
সত্যিই সব শান্ত।


ঐ তো খেলার মাঠ
স্বর্ণ এনক্লেভ।
আবার দেখলাম নবনীতাকে।
মাঠের ডান দিকে।
ঘড়ি দেখলাম বারোটা সাতচল্লিশ
তারপর তাকালাম
বাঁ দিকে চলে গেছে।


কেমন যেন দৃষ্টি
তাঁকাচ্ছে।


মেসেজ এলো
জল খাবেন?
জল...
সিকিউরিটি গার্ডকে ডাকলাম।
মেন গেট ধাক্কা দিলাম
যে গাড়ি
চারশো সাত টেম্পো যাচ্ছিল
দাঁড় করাতে চাইলাম।


কেউ শুনছে না আমার কথা।
একটা জলের বোতল
এগিয়ে এলো।
নবনীতা হাসছে।
কেমন করে তাঁকাচ্ছে
বমি এলো
প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে।
নিশ্বাস নিতে পারছি না
কে যেন গলাটা টিপে ধরেছে


আর কথা বলতে পারছি না
একটা লালাওয়ালা জিভ
দিয়ে লালাময় করছে
লাল চোখ এগিয়ে আসছে।


চেঁচিয়ে বললাম
ব্লক বি তে যা...যাবো
নবু আমায় ছেড়ে দে।


হঠাৎ রুমার শব্দ
কিসের স্বপ্ন দেখছ
সকাল থেকে উঠে কাজ করতে করতে...
এই লেক্সি কাজের সময়
বিরক্ত করিস না।
ডাকতে বললাম সে গিয়ে
জিভ দিয়ে চেটে আদর করছে।
যত সব হয়েছে।


উঠে বসলাম।
নাহ আমি পুণেতেই আছি।
আজ রবিবার।
যাই ড্রাইভ করে বাজার যাই
বেশি বেলা হলে
চিতল পাবো না, মটনেও তো লাইন।
ফোনটা হাতে নিলাম
হোয়াটস অ্যাপ খুলতেই
কবিতার মেলার
চারশো মেসেজ।
আর ভাল্লাগে না।
যত্ত সব খাবারের ছবি।


হঠাৎই দেখলাম
একটা আননোন মেসেজ ফোনে,
রাত একটা তিন
জল খাবেন!