স্বামীজির সাথে ধোঁয়াশা পাহাড়ে দেখা হয়েই গেল।
ধ্যানরত পরমহংসের মুখোমুখি। দুই যুবক হাসি।
আমি তখন অসীমের খোঁজ করছিলাম দৈনিক-বাসে।
যে পৃথিবী স্বামীজির মতো আমাকেও ফেলনা ভাবে,
খেলনা মনে করে সামনেই হাসে, গালাগালি দ্যায়
সেই সমাজকে বদলে দেওয়ার মন্ত্রটুকুই খুঁজছিলাম।
শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ বললেন ‘শালা বক্তৃতা দে, সত্য দেশের
চুরি জীবনের ফলাফল তো শূন্য, এটুকু বোঝাতে হবে’
আমি বললাম ‘আজ তো শিকাগো বক্তৃতার সেই...’
‘ধুর শালা বক্তৃতাই দেখলি, পিছনে কষ্ট-জেদ-ত্যাগ
এসব বুঝলি না, কেষ্ট-খ্রীস্ট-আল্লা সবই তো তুই নিজে’


আমিও বুঝলাম, যতই তোমরা টাকা রোজগার করো
সমাজে রাজনীতি করে ব্যারেল বিখ্যাত হয় না কেন,
তোমরাও শান্তি খুঁজে চলেছো পৃথিবীতে।


মনীষীরা, কত সহজেই বুঝে গেছেন, জীবনের কবিতাদের
শ্রীশ্রীসারদামা সেই শান্তির খোঁজে সহনশীল ঋদ্ধতায় বিদ্ধ--
হয়ে নিজের ভুলকে দেখতে বলেছিলেন।


মন,
আমিও তো তোমায় নষ্টনীড় করেছি, আয়নায় ক্ষুধিতপাষাণ...