প্রতিদিন তোমারই চোখে
ভেসে যাই নিজেরই মতো,
ভাবনার এই বুড়ো বেলায়
তোমার রান্না মেটায় ক্ষত।


বয়সের অন্ধকারে, জোনাকির জীবন আলোয় এসব লিখতে লিখতে তোমাকে আকৃষ্ট করতে পারি না আর। সুন্দর সুন্দর রান্নার ডালি ভেসে ওঠে চোখের সামনে। এখন তো সবই বারণ, এখন তো সবই স্বপ্নের মতো মনের ভিতর খেলা করে। বসন্ত পেরোনো জ্যোৎস্নায় তাকিয়ে বুঝেছি, সংসার মানে এখন কেবল তুমি, ছেলে মেয়ে নিজের দুনিয়ায় তারা চন্দ্র সূর্য খুঁজে নিয়েছে, আর চাঁদের মতো তুমি অপেক্ষা করছ চায়ের কাপে।


রাত নেমে এলে জেগে ওঠে তাই
শুধু ভালোবাসার ভাত-পান্তা খাই।
আঁচলের চাবিতে মরচে লেগেছে
মাঝি জাল নদীঘুমে ঐ ভেসেছে।
খেয়া নয় এখন তোমার কোল চাই
সারাজীবন হাসি মুখে তুমি লাটাই।
এসো বসো পাশে, চায়ের পেয়ালা
ধুলো পরেছে টাইটানিকের বেহালা,
তবু সুর ওঠে জাহাজের হৃদয়ে রোজ
আমার চোখের স্ফটিকে নিয়েছ খোঁজ।


ভীড়ের মাঝে চুপ করে যাই নাবিক মনের কোণে, তুমি আছো পাশে ছায়া আর গাছের আবহে। পুকুরে তরঙ্গ, মনেতে বিসর্জনের গান, ফেরাবে তুমি আমায় জ্যোৎস্নার অভিমান। চুপ হয়ে যাই অনুষ্ঠানের বিতর্কে আজকাল। তোমার বিয়েবেলা এ বয়সেও আমার সকাল। ফিরে তাকাই ঘুমবিছানায়, কাল সকালে কত কাজ বাকি, ভালোবাসার পথ হাঁটি, কাকে দেব এ জীবনে ফাঁকি। সবটুকু তুমি, রান্নার স্বাদে, গোছানো ড্রয়িংরুমে,
কাছে কী নেবে আমায়, দেবে কপালে চু...