এক.
ইস্পাতের কারখানা গড়তে গিয়ে চক্রব্যূহে পঞ্চপান্ডবের দাসত্ব কামনা করেছি, রবিযুগে।


দুই.
অজস্র কাগজ, ডায়েরির লেখনি। কুড়ি বছরের প্রভেদে পাশাপাশি দুই সময়ের লেখা আস্তিনের ভালোলাগায় জড়িয়ে ঘুমিয়েছি চুল্লিকে সাক্ষী রেখে। গঙ্গাপ্রবাহ।


তিন.
সরস্বতী বানান জিজ্ঞেস করার সেই বুড়ো চোখ পাড়াতে আর নেই। কেবল চায়ের দোকানে জটলা, রাজনীতিকথা।


চার.
আবহ তৈরি করে দেওয়ার মতো আবহ তৈরি হয়নি বিশল্যকরণীর পথ্যে। শুয়ে আছি কবিতাঘ্রাণের নিচে দর্শক হয়ে। অরাজকতায়।


পাঁচ.
পরীক্ষার আগে মনস্থির করে জয়ী চিন্তা করলেই হার জিতের সকালটা বদলে যায় সৃষ্টি সুখের উল্লাসিত জ্যোতিতে। এখন মাথার ভিতর বোধ কাজ করে প্রিয়তমা। পরীক্ষা আসলে মিথ ছাড়া কিছুই নয়। চাকরির টাকারা ভ্রমকল্পের সুকুমার রায়।


ছয়.
শিক্ষক ও শিক্ষার দ্রোণাচার্যরা গুছিয়ে নেওয়া সংসারে ছাত্রছাত্রীদের স্থান দেয় না। কেবলই অপেক্ষা শেষে তুণ নিয়ে ফিরে যায় ভারাক্রান্ত বাড়ির লোক। ছাত্ররা তখন হয়তো ছাত্রীর প্রেমে মগ্ন। অর্জুন যেমন দ্রৌপদী স্পর্শে যুদ্ধ করেছিল আঠারো দিনের শীতঘুমে।


সাত.
মানতে না পারা ভালোবাসার অভ্যেস ফিরে আসছে দাক্ষিণাত্য থেকে উত্তরের শরীরক্রিয়ায়। ভালোবাসার অভ্যেসেই হারিয়ে ফেলার তিতিক্ষারা অবস্থান করে সূর্য বা চন্দ্রে। এসো চাঁদের জ্যোৎস্নাটুকু মাখি। সূর্যে তীব্র মধুচন্দ্রিমা একবারই আসে। একবারই।


আট.
রাতঘুম কমেছে। ফ্যানের হাওয়াও বিরোধীতা করছে উত্তর সম্পাদকীয়তে। এসো তাচ্ছিল্য করা সবুজ সকালে গেরুয়া তপস্যা করি। একদিন শীতঘুম শেষে অশোকচক্রের হাত ধরে আমরাও পাড়ায় পাড়ায় বক্তৃতা দিয়ে কাঁপিয়ে দেবো ভোটযুদ্ধ। বন্ধুগণ, ভাইয়ো ব্যাহেনো...


নয়.
সাতার শিখতে হলে জল নয়, মনের আত্মপ্রত্যয় দরকার। ভাসার ভারসাম্য জানতে চক্রব্যূহের ভাষা জানতে হয়। বাকিটা ইতিহাস। তবে বৌদ্ধ পুত্রের কি সেই ক্ষমতা ছিল ধম্ম প্রয়োগ বা প্রচারের...


দশ.
ভারসাম্যের এ প্রান্তে কার্বন ও অন্যপ্রান্তে অক্সিজেন। আমি গাছ চাইলে তুমি কারখানা। তুমি শিল্প চাইলে আমি কৃষি। আর আর্থিক স্বচ্ছল্যতা তো দুটোই চাইছে। শীতঘুম ভেঙে চক্রব্যূহের মাঝে তুমি দাঁড়িয়ে। আর তোমার পৃথিবী বিক্রি করছে বিশুদ্ধ অক্সিজেন পঞ্চাশ বছর পরে। না হলে দূষণে তুমিও মৃত গঙ্গাপুত্র। ইচ্ছামৃত্যু বা ১০৮ বাণ তখন অতীত। পুরোটাই ভারসাম্যহীন নীলগ্রহে লালের উপস্থিতি।


এগারো.
এসো সমস্ত বই পুড়িয়ে ভবিষ্যৎ দেখি। অতীতের টান নয় এসো ভবিষ্যতের চক্রব্যূহে স্ট্যাটাস খুঁজি, প্রিয় কোশ। প্রিয় অ্যামিবা। প্রিয় আলতামিরের গুহা।