সকালের ঠান্ডায় স্নান করতে করতে
‘কে তুমি নন্দিনী’ গাইতে গাইতেই
শুনতে পেলাম বউ বলছে
‘ঢং, আর পারি না... অফিস আছে তো নাকি!’


মোটর রিক্সায় উঠে ভাবছিলাম
ঠিকই তো ঐ যে জলপাইগুড়ির করলা নদী
তার জন্য আমার লেখা উপন্যাস
সে তো কেবলই আমার স্মৃতিচারণ বিলাশ।
এসি বাসে বসে ভাবলাম
করোনা নয় আজ তো সৌমিত্র দিন।
ঐ যে দূষিত নদী শরীর
আমি কী করেছি।
কিছু ছবি তুলে তিস্তার কাব্য করেছি।
কিছু ছবি সব নয়।
ভালোবাসলে পুরোপুরি দিতে হয়, সবটুকু...


আঁতলামো আমি কোনদিন করিনি।
চারদেওয়ালের অফিসে বসে
সাজিয়ে নিচ্ছি গতি পথ।
ঠিক করে নিয়েছি আমি পাহাড় হবো
আর মিসেস হবে নদী
কিন্তু
আমার ছেলে তো ব্ল্যাকবেল্টের জাহাজ
ওর উড়োজাহাজ বা স্ফুটনিক হওয়া তো
বাঁচা মরা ইত্যাদি।