প্রতি সন্ধ্যায় তুলসী মঞ্চ ‘মা’ আওয়াজ করে
আমিও শুকনো খোল ছেড়ে মানুষ হই,
নিজের বুদ্ধি রমনের শেষে প্রেয়সীর চুল
আমার উন্মুখ হা করা কুমীর স্বভাবকে
খোরাক দেয় উপন্যাস রচনার।


টাকা দিয়ে কেনা পুরস্কার মুছে রাখি চুল্লি-শবে
ফেরিওয়ালা দিয়ে যায় না-জীবনের অনন্তমূল,
মনবাজার পাঁচ-মাথার হাটে
বিকিয়েছি আমার হৃদ-ক্যাপাসিটার।


প্রেয়সী চুমু দিয়েও চুমু রাখেনি আয়ুযাপনে
মা চলে গ্যাছে অন্তরীক্ষের বাহুকাননে
উপন্যাসের উপ প্লটে। নিদ্রাহীন বসে পুজোবার্ষিকী।


তুমি এ উপন্যাস শুরু করলেই আমার মৃত্যু অনিবার্য...


তুলসীমঞ্চের শাঁখে ফুঁ। ঋতুস্রাবের অজুহাতেরা ফিকে
ছোট্ট ফ্ল্যাটের কোণে বৃহস্পতিবারের প্যাকেজ
বড্ড ক্লান্ত করে ছেচল্লিশের যুবক কলমকে।


প্রতি সন্ধ্যায় কেন তুলসী মঞ্চ ‘মা’ আওয়াজ করে?