অন্ধকার রাস্তার লেড আলোতে
রিক্সাটা যখন থামল
তখন আমার চুল সাদা হয়ে গেছে।
বাড়ির চারপাশে শ্যাওলা,
অবাক হয়ে যাচ্ছি দূরের মন্ডপ
কেমন বদলে গ্যাছে থিমের জ্যোৎস্নায়।
আর তারই মধ্যে গ্যামাক্সিন
দাদা বকসিসটা দিলেন না তো।
তখনকার দিনের একশো আশি টাকার মাইনে
এখন মাসে পাঁচ লাখ হয়ে গ্যাছে
তবু দাঁড়িয়ে রইলাম অন্ধকার রাতে।


হাসতে হাসতে চলে গেলো মোটর রিক্সা
হাতে টানা টুং টুং এখন বিলুপ্তপ্রায় প্রদীপ।
দাড়োয়ান বদলে গ্যাছে সিকিউরিটি গার্ডে।


সাদা অ্যাম্বাসাডরটা উড়তে উড়তে
কবে যে হন্ডা সিটি হয়ে গ্যাছে
তা বুঝতে হলে আরও একবার
কামারপুকুর যেতে হবে।


ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম।
ভিতর থেকে কেউ
দরজা খুলে দিলো না।
বোধহয় বোনাস, বন্যার ত্রাণ
এশিয়ান পেন্টসের শর্ট লিস্ট
এসব নিয়েই ব্যস্ত।


শুকনো গোলাপের বদলে কাশ ফুল
একটা কবিতার বই

শোনপাপড়ি দিতে এসেছিলাম।


দরজাটা নিজেই খুলে গেলো।
ঐ তো ও দাঁড়িয়ে আছে,
আমাকে মনে হয় চিনতে পারেনি।
সাক্ষাতে আমি বলেছিলাম
ওর প্রকাশিত সমস্ত বই নেবো।


মোবাইলে জি পে আছে।


ও কথা বলল না।
চোখ দিয়ে জল নদী হয়ে যাচ্ছে
আমি ভেসে যাচ্ছি,
হরপা বাণ এসেছে,
কোথায় থামবো জানি না,
স্রোতের সমুদ্রে আমি ক্ষুদ্র ঝিনুক,


ও হঠাৎ বলে উঠল
মুক্তোদা,
তুমি এলে অবশেষে!