রুবি রায়কে ভুত ধরেছে গেছিল যখন নায়ে,
ভুত ছাড়াতে পড়ল সবে হোচেন রোজার পায়ে।
শুনেই রোজা সবার সাথে চলল তাদের বাড়ি,
বলল- ভুত ছাড়াতে চাই ঝাঁটা জুতো আর হাড়ি।
মন্ত্রপাঠ শেষে কহিল রোজা মাথাটি নেড়ে -
রুবি রায়কে ধরেছে এক মেয়ে পাগলা ভুতে।
শুনেই সবাই উঠলো হেসে 'হো' 'হো'  করে ।
এ ওকে জিজ্ঞাসিল - এ কেমন ভুত রে ?
রুবি রায়ের রূপটি ভালো দেখেই ধরেছে ভুত,
জানো ভুতের কেমন রূপ ? এক্কেবারে কিম্ভুত।
রুবির পিঠে পড়ল যখন ঝাঁটা জুতোর বৃষ্টি,
মহাত্রাসে বললো সবে - একি অনাসৃষ্টি !
ঘা কতক পড়লে পিঠে কহিল ভুত রুবির মুখে -
আর বেশি মারলে পরে পাবনা আর থাকতে সুখে!
বিষম রেগে বললো রোজা- এখুনি না ছাড়লে পরে
এই হাঁড়িখানির ভিতর পুড়িব তোরে।
শুনে কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে ভুত কয় করজোড়ে -
পারবো না, কেমনে রব আমি রুবিকে ছেড়ে।
তবে রে পাজি - এই না বলে বিকট হেসে
হোচেন রোজা রাগী ঝাঁটাটি ধরলো শেষে।
বিপদ বুঝে ভুত কহে - এবার করবো আমি কি?
রোজা কয় - হাওড়ার পুলে বসে মেয়ে গুনবি।