হে মায়াবতী হরিণী !
কোথায় আছো! কতোদিন দেখিনা তোমায়
জানিনা কেন!
ইদানীং খুব বেশী মনে পরে তোমায়;
জান, প্রায় পঁচিশ বছর পর
আজ গিয়েছিলাম সেই মহল্লায়
যেখানে,থাকতাম পাশা পাশি
দেখা হতো, কথা হতো প্রতিদিন, কিন্তু
কেউ জানতাম না কারো মনের অভিব্যক্তি।
মনের আনন্দেই ঘুরলাম পুরুটা মহল্লা
জান! ঝিল পারের সেই
কৃষ্ণচূড়া গাছটি এখনও আছে!
পঁচিশ বছর পরেও
এই বসন্তেও পুরো লাল হয়ে ফুটেছে!
কিন্তু জানি!
হারিয়ে গেছে তোমার সেই সরল চঞ্চলতা
ঘাস ফুল হাতে স্কুল থেকে ফিরবে না আর বাড়ি
বলবে না ডেকে-
এই গ্রামের ছেলে! নাম জান ফুলটার
ফুলটা কিন্তু গ্রামেরই!
শুন হে মায়াবতী!
তুমি কি এখনও,আগের মতো প্রতিদিন ছাদে যাও
অপেক্ষা করো সুর্য্য ডুবার।
নাকি! এখন আর
সূর্যাস্ত দেখনা, ভাল লাগে না দিগন্ত নীলিমা ।।