শীতল হাওয়া অঙ্গে মেখে
এলো চুল নাচে বিনোদনে ,
উষ্ণ ছোঁয়ার দীর্ঘশ্বাসে হৃদয় –
উৎস হয়েছে শুধু নিবেদনে।
কঠিন কাঠামোর শুদ্ধ জলাভাবে
ঘিরে ধরে স্তূপের আবর্জনে !
রোপণ বপন অবমাননায় রক্ষণ
পায় না স্থান আর উঠানে ।
আমি যে বায়ুর পরিবহন ক্ষমতা –
কজনে বুজেছে তার মানে !
ইমারতের তাগিদে রক্ত ঝড়িয়ে –
টবে সংরক্ষিত করে এনে ।
কোকিল ভিজল বসন্তের স্নানে –
জলীয় বাতাসের মিশ্রণে !
সুরেলা গানে স্পর্শ কাতর সকলে
স্নিগ্ধ হয় কেবল বাতায়নে ।
বেড়ার বেড়ি বেষ্টনে আবদ্ধ –
সংকীর্ণ –আধুনিক –চেতনে !
নিঃশ্বাসের কষ্ট –বেগতিক স্পষ্ট ;
মালী রাখে যতনে বেতনে ।
কোলের শিশু মেলে দেয় অঙ্গের –
বিকশিত বাহু পবনে
বৃহত্তর উচ্চতর সর্ব তর আকাশে
বসতে শিখবে আসনে ।
হারিয়েছে মান বেঁকেছে জ্ঞান
পাথরে গেঁথেছে মাটি জেনে ;
আবার জন্মাবে ভূমি কবে মাটির রসে !
বইবে বাতাস শন শনে !
আকাশ বাতাস জলাভাষে কথন –
বলতে চায় মুক্ত বনে-
বন নয় তো বাগানের গড়নে
মানাবে সাজালে এনে ।
আমি নিতান্ত সরল উপকারী
ভুলনা জেনে শুনে !
আমি কাঁদাতে হাঁসাতে জানি
স্পন্দনে ও আছি বেঁচে প্রাণে ।