ঐ দূরে সুরে কিসে কান পাতি -  
বাজিছে বাঁশি হৃদে যেন দিবানিশি        
  ব্যথিত করুণ সুর সাগরে মিশি
ঐ নীলাম্বরীর নীলাচলে মাতি !  
তোমায় কেবলই আঁকড়ে ধরে জনে জনে
  একান্তে বাঁধতে পারিনা মনে                                                                                                          তোমার দর্শন পান সকল ভক্ত জনে
আমি কি অক্ষম প্রভু তোমায় অর্জনে ?  
তোমার মনহর রূপ –পূর্ণিমার চাঁদ
তাইকি অহং এ কাটাতে চায় চিরপ্রান !  
  আর মোহমায়ায় বিলাবে দান!                                
  ও চেয়ে দেখাতে ই বিরল প্রেমের ফাঁদ !  
  আমার যৌবনের সুপ্রভাতে
  আঁখি মেলি স্থির –এই তোমাতে    
  আমৃত্যু কাটাবো ভেবেছিনু গোপনেতে  
শয়নে স্বপনে কেবলই দেখি তোমাতে আমাতে ।
  অভিমান করি –কাতরতা বোঝাতে নয়  
  অশ্রু পানে, তুচ্ছ করেছি ভয়    
   আসুক যতই মিলনহীন সংশয়  
  প্রবিত্র সত্য প্রেম সে কি মিথ্যা কভু হয় ?        
  প্ররশে  অধীর শরমহীন ব্যকুলতা
ছিনিয়ে নেয় বারংবার কোন, স্নেহ লতা    
একি পরিহাস করেন বিধাতা !
  নিঃস্ব করে দিল, তোমাকে চাওয়ার আকুলতা !  
  এড়াই ঈর্ষার কটাক্ষ কু দৃষ্টি
  তুমি কর্তা তোমাতে বিশ্বের সৃষ্টি    
  তবে কেন ভাগের ভাগ্যে অনাবৃষ্টি ?
এই প্রাতে না হয়, বিনষ্ট মোদের কৃষ্টি
রাধে রাধে বলে আসবে কবে
সতীনের সান্নিধ্য বিতাড়িত হবে যবে        
মান ভজ্ঞনের পালা বাকি না রবে !  
আশাহত রাধের মনোবাঞ্ছা পূরণ হবে !
প্রিয়ে- কেন তুমি জড়িয়ে সবার জীবনে ?
সর্ব হারা যারা ,তবু তোমার স্মরণে  
সম্পদ নয়,ভক্তিমতিতে নত ও চরণে  
কৃপা আমাকেও করবে তো হরি !আমার মরণে ?                        
নিত্য হাস চেয়ে,দাও শুধু লাঞ্চনা    
ভাব- কি হল রাধার পূজা অর্চনা !    
নিঃস্বার্থে সয়ে চলেছি যে যন্ত্রণা!  
পারবে কি দিতে আমারে সেই সান্তনা ?
রাধা শ্যমের মিলন হল
জয় ধ্বনি গেয়ে যারা বল    
আদৌ কি রাধা শ্যাম কে পেল ?
প্রভূত প্রেম অস্তাচলে গেল ।


    
                                                                           সোনালী দাস