মহাযোগী দেবর্ষি ,দেবতার আনুগত্য লাভার্থে
        পরমার্থ ক্রিপার্থের করেন লক্ষ্য
ক্রিয়া প্রক্রিয়া ভবের, তাঁর অঙ্গুলির লেহনে  
         সাত্ত্বিক জানেন কোথায় মোক্ষ ।
নয়নভিরাম চিত্রশতদলে  কুঁড়ি প্রস্ফুটিত হয়
             তাঁর কৃপার সমগ্র বৃক্ষে –
একটি পাতাও আন্দলিত করে তাঁর দয়ায় –
        তিনি আছেন তাই পৃথিবী রক্ষে ।
সান্নিধ্য পাই সশরীরে নয়, মানুষের ভিতর দিয়ে
          দুর্ভাগ্য –দেখিনি জ্যোতির্দেহ –
অন্তর্মুখী প্রাণ প্রাচুর্য জাগ্রত করে মনবল কে
         অবতার হয়ে জন্মে নি কেহ।
সৎ পথ অনুগামী অক্লান্ত পরিশ্রমী যিনি-
        নিষ্কাম রত্ন তাঁর পরিত্যাজ্য ,
উপদেশ ঘিরে বাণীর পথ অবলম্বন করে
      আসক্তি বিতাড়িত তাঁর অপরিহার্য ।
যার মন স্থির অগ্রে পৌঁছানো, ভক্তির অন্দর মহলে
         শ্রেষ্ঠ মার্গে অবতারণ ,
স্মৃতি অমৃত করে অশ্রু র বিষ পান করে মনে
      পশ্চাৎ এ করেনা অনুধাবন ।
অদৃশ্য মায়া হাতছানি দেয়- সঙ্কটের পথে
          যুদ্ধে বাঁচাই যতটুক –
ভেবে কূল হারাই ,কোথায় এর পরিণতি লেখা
         শিউরে ওঠে নিজের বুক ।