আজমী আর আদৃতা,হৃদয়ে দুই ঝর্ণা ধরা।
পরিচয়ে নতুন,দূর্ণিবার বন্ধুতায় গড়া।


দোতলায় পাশাপাশি;দুই ঝুল বারান্দার কোনে,
কবিতা,গান,আর প্রাত্যহিক কথোপকথনে-
             একজন অদৃশ্য কণ্ঠস্বরে চেনা,
             অন্যজন- বাগানবিলাসিনী লতা।
             
তাদের নিয়মিত শ্রোতা-কিছু সবুজ গাছের পাতা,
বিশ্রামরত ছাই রঙা বিড়াল,স্যাতসেতে দেয়াল
বেয়ে ওঠা- কেন্না,প্রাচীন নীলাভ্র,
লম্বা জিরাফের গলা-ডালগুলো,
আজমীর মনের সাথে রঙ মিলালো।


কথা বলতে বলতে-
ফ্রক পড়া বালিকা দু'টো- কখনো মাছ,
কখনো টুঁই-টুঁই শিস দেয়া পাখি,
কখনোবা হাসতে হাসতে-উচ্ছল
লাল নীল বেগনি;রঙের ফোয়ারায় মেলানো হাসি!তাদের শ্রোতারা- বিনোদিত ঝর্ণা ধারা।


নরম দু'টো হাতে,ঝুল বারান্দাতে
আদৃতা যখন আদুরে আবদারে আজমীকে ডাকে,
অন্য বাসিন্দারা সে আদর চামচে তুলে নিতে যেনো- তক্ষুণি পা বাড়িয়ে ছোটে।


বিষাদী গানের পাখি- আদৃতা,একা গান গেয়ে যায়।
আজমী- খলবলে খলসে,প্রতি বিকেলে যে-
মাছ বদলে হয়ে যায়- লতা।
সকাল আসে- বিকেলের বারান্দাতে,
সবুজ পাতারা ঝুঁকে- পত্রহরিৎ চা হাতে।
আজমী ও আদৃতার বন্ধুতায়-
মধুর সময় কাটায়              
চনমনে আরেক- বিকেলের অপেক্ষা।